এই গ্রীষ্মেই গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে প্যারিস সাঁ-জাঁতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ খানিকটা সময়। চোটআঘাত ও ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে একেবারেই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। তবে যে গুরুর হাত ধরে তাঁর ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছিল, সেই পেপ গুয়ার্দিওলার বর্তমান দল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে নিজের প্রথম পিএসজি গোল করলেন আর্জেন্তাইন তারকা।
এদিন গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যান সিটি এবং পিএসজি। ম্যাচের আগে মেসির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ম্যাচে প্রথম থেকেই মাঠে নামেন তিনি। গত মরশুমে একই দলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে চূড়ান্ত হতাশাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল পিএসজি। তবে মঙ্গলবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার) সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় মরিসিও পচেতিনোর দল। ম্যাচের মাত্র আট মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৭৪ মিনিটে স্বভাবচিত ভঙ্গিমায় দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন মেসি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ডানদিক থেকে চোরা গতিতে সিটি বক্সের সামনে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলেই বাঁ-পায়ের জোরালো শটে সিটির জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ক্লাব ব্রুজের বিরুদ্ধে হতাশাজনক ড্র করার পর এই ম্যাচে জয়ের সুবাদে গ্রুপের তালিকায় প্রথম স্থানে চলে গেল পিএসজি। সঙ্গে বজায় থাকল এ মরশুমে তাদের অপরাজিত দৌড়। ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করে মেসি একটু দেরি করে হলেও দলের সঙ্গে যে ধীরে ধীরে মানিয়ে সেই কথাই জানান।
Canal+-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এটা একটা দারুণ জয়। ব্রুজ ম্যাচের পর এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। আমি গোল করতে পেরে খুশি। আমি খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি (পিএসজির হয়ে) এখনও। তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছি। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দল যেন জিততে থাকে।’ প্রসঙ্গত, এই ম্যাচে গোলের সুবাদে করিম বেঞ্জেমার সঙ্গে যুগ্মভাবে মেসিই দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে নাগাড়ে ১৭টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মরশুমে গোল করার নজির গড়েন। গ্রুপের অন্য ম্যাচে আরবি লাইপজিংকে ২-১ গোলে হারায় ক্লাব ব্রুজ।