Champions League: বেনফিকাকে হারিয়ে কোয়াড্রপল জয়ের আশা অব্যাহত লিভারপুলের, সেমিতে পৌঁছল ম্যান সিটিও

বেনফিকার ঘরের মাঠে, প্রথম লেগে ৩-১ জয় ছিনিয়ে নিয়ে মোটামুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়েই রেখেছিল লিভারপুল। ঘরের মাঠে অবশ্য ছয় থ্রিলারে জয় সুনিশ্চিত করতে না পারলেও, দুই লেগ মিলিয়ে বেনফিকাকে ৬-৪ হারিয়ে দিল রেডসরা।

প্রথম লেগের মতোই লিভারপুলকে কর্ণার থেকে হেডারে গোল করে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমা কোনাটে। তবে ৩২ মিনিটে ম্যাচে খেলার গতির বিরুদ্ধেই, বেনফিকার হয়ে সমতা ফেরান রামোস। প্রথমার্ধ ১-১ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিল লিভারপুল। ৫৫ ও ৬৫ মিনিটে রবার্তো ফির্মিনো দুই গোল করে লিভারপুলকে ৩-১ লিড এনে দেওয়ার পর সহজেই সেমিতে পৌঁছে যাবে বলে মনে হচ্ছিল রেডসরা। তবে লড়াকু বেনফিকা হার মানতে নারাজ ছিল।জনপ্রিয় খবর

ভার্জিল ভ্যান ডাইকের অনুপস্থিতিতে লিভারপুল রক্ষণ এক নয়, দুইবার নিজেদের ডিফেন্সিভ লাইন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। সেই সুযোগেই ৭৩ মিনিটে ইয়ারেমচুক ও ৮১ মিনিটে ডারউইন নুনেস গোল করে ম্যাচে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান। দুই গোলই প্রথমে অফসাইডের জন্য বাতিল হলেও, ভিএআরের সহায়তা সিদ্ধান্ত বদল হয়। নুুনেস ম্যাচের শেষের দিকে একেবারে জ্বলে উঠেন। তাঁর একটি শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন লিভারপুল গোলকিপার অ্যালিসন বেকার। আরেকটি শটে বল জালে জড়ালেও, তা অফসাইডে বাতিল হয়। কোনওক্রমে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় জুরগেন ক্লপের দল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে জিতে তারা পাঁচ মরশুমে তৃতীয়বার সেমির টিকিট পাকা করে।

লিভারপুল প্রথম লেগের পর সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে মাত্র ১-০ গোলে জিতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পরিস্থিতি কিন্তু ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। অ্যাটলেটিকো কোনও সময়েই সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। মাদ্রিদে নিজেদের মাঠে অবশ্য মাঠের মধ্যে খেলার লড়াইয়ের থেকে এই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক লড়াই বেশি শিরোনাম দখল করল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর, দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ম্যান সিটি সময় নষ্ট করার পরিকল্পনা নিলেই, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে জোর লেগে যায়।

মাঠের মধ্যে ম্যান সিটি ও অ্যাটলেটিকো ফুটবলারদের তুমুল ঝামেলা লাগে। ছবি- রয়টার্স।
মাঠের মধ্যে ম্যান সিটি ও অ্যাটলেটিকো ফুটবলারদের তুমুল ঝামেলা লাগে। ছবি- রয়টার্স। (Action Images via Reuters)

ম্যাচের ৯১ মিনিটে অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ফিলিপে লাল কার্ড দেখেন এবং ১২ মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করা হয়। তবে ম্যাচে গোল আর হয়নি। অ্যাটলেটিকো শেষের দিকে দুইটি বড় সুযোগ তৈরি করে। তবে তা কাজে লাগেনি। তবে দুই দলের গরমাগরমি মাঠের মধ্যে তো বটেই এমনকী মাঠ ছাড়ার পর টানেলের মধ্যেও হাতাহাতির ছবি ধরা পড়ে। শেষমেশ পুলিশ দিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের আলাদা করতে হয়। তবে গোলশূন্য ম্যাচ থাকায় আরেক মাদ্রিদ দল রিয়ালের বিরুদ্ধে নিজেদের সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে নেয় সিটি। লিভারপুলও সেমিফাইনালে স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই মাঠে নামবে। তারা খেলবে এ মরশুমের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.