ম্যাটারথন পাহাড়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে। ঝিরঝিরে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ব্র্যান্ডির গ্লাসে চুমুক দেওয়ার অপেক্ষা। ম্যাচ গড়িয়েছে টাই-ব্রেকারে।
ads
নামের ভারে ম্যাচটা ‘ফেভারিট’ হিসেবে শুরু করেছিল স্পেন। ৮ মিনিটে জাকারিয়ার একটি আত্মঘাতী গোল বদলে দিয়েছিল ম্যাচের পট। প্রথম কোয়াটার এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন।
কোয়ার্টার ফাইনাল এর আগের ম্যাচগুলোতে গোলের সামনে আহামরি ছিল না স্পেন। তবুও স্প্যানিশ আর্মাডার গোলাগুলি প্রতিহত করা ছিল সুইসদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ায় বদলে গিয়েছিল তাদের সমস্ত অংক। নিমিষে চাপে পড়ে গিয়েছিল সুইৎজারল্যান্ড । সত্তর শতাংশেরও বেশি বল পজিশন রেখে ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখেন সের্জিও বুস্কেতসরা। মাঝ মাঠের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে চাপ বাড়াতে শুরু করে ইউনাই এমেরির ছেলেরা। একাধিকবার দুর্গের নিশ্চিত পতন করেছেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। প্রথমার্ধের পরেও গোলের খাতা খুলতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন সুইসরা।
৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। স্পেনের রক্ষণভাগের ভুল-বোঝাবুঝি সুযোগ নিয়ে স্কোরলাইন ১-১ করেন জাদরান শাকিরি। লিভারপুলের খেলা এই মিডফিল্ডার সুইস তাঁবুর অন্যতম প্রাণভোমরা। ম্যাচে সমতায় ফেরার পর রিকার্ডো রড্রিগেজরা কোন ছকে খেলা এগিয়ে নিয়ে যান সে দিকেই ছিল লক্ষ্য।
তথাকথিত বড় ম্যাচে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হয়ে দেখা যায় দলের সমবেত মনোভাব। সুইৎজারল্যান্ড- এর তুলনায় স্প্যানিশ ফুটবল ঘরানা, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনেকটাই সমৃদ্ধ। চাপের মুখে একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। একটি ক্ষেত্রে খামতি রয়ে গিয়েছে সুইজারল্যান্ডের। প্রক্রিয়া আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলতে গিয়েই বাড়তি চাপ নিয়ে ফেললেন পেতকোভিচদের ছেলেরা। ৭৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সুইৎজারল্যান্ডের রেমো ফ্রিউলার।
ম্যাচ টাই-ব্রেকারে গড়াতেই চাপে বাড়তে থাকে সুইজারল্যান্ডের ওপর। একের পর এক পেনাল্টি ফসকালেন লাল জার্সিধারীরা। তিনটে পেনাল্টি আটকে ম্যাচের নায়ক বনে গেলেন উনাই সিমোন। সেন্ট পিটার্সবুর্গে স্পেনের পক্ষে ম্যাচের ফল ১-১ (৩-১)।