অজিভূমে ভারতবিক্রিম! অ্যাডিলেড ওভালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে লজ্জাজনক হারের পর মেলবোর্নে গৌরভের জয় উপহার অজিঙ্ক রাহানের ভারতের৷ বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পিঙ্ক বল টেস্ট হারের বদলা নিল ভারত৷ সেই সঙ্গে চার টেস্টের সিরিজে সমতা (১-১) ফেরাল টিম ইন্ডিয়া৷ ম্যাচের সেরা ক্যাপ্টেন রাহানে৷
এমসিজি-তে টানা দু’টি বক্সিং ডে টেস্টে জয় ভারতের৷ ২০১৮-১৯ মরশুমে বিরাটের নেতৃত্বে প্রথমবার বক্সিং ডে টেস্টে জয় পেয়েছিল ভারত৷ দু’ বছর পর রাহানের নেতৃত্বে বক্সিং ডে টেস্টে দুরন্ত জয় টিম ইন্ডিয়ার৷ ক্যাপ্টেন কোহলির অনুপস্থিতিতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্বে দিলেন রাহানে৷ ফিল্ডিং সাজানো থেকে ব্যাটিং সব দিক থেকে ফুল মার্কস পেয়ে পাস করলেন বছর বত্রিশের এই মারাঠি৷
অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বল টেস্টে ঐতিহাসিক হারের পর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ঐতিহাসিক জয় ভারতের৷ মাত্র সাড়ে তিন দিনেই অজিদের হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল রাহানে অ্যান্ড কোং৷ দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ৭০ রান৷ দু’ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত৷ প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের দুরন্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন রাহানে৷ জয়সূচক রানটিও এল ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে৷ নাথান লায়নেক স্কোয়ার লেগে ঠেলে গিয়ে ভারতকে প্রত্যাশিত জয় এনে দেন টিম ইন্ডিয়ার স্ট্যান্ড-ইন ক্যাপ্টেন রাহানে৷
৬ উইকেটে ১৩৩ রান হাতে নিয়ে চতুর্থদিন সকালে খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া৷ অপরাজিত দুই অজি ব্যাটসম্যান ক্যামেরন গ্রিন এবং প্যাট কামিন্স তৃতীয়দিন অন্তিম সেশনে ভারতীয় বোলারদের সামনে অসীম ধৈর্য দেখানোর পর চতুর্থদিন সকালেও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট তুলে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগে টিম ইন্ডিয়ার৷ অবশেষে সপ্তম উইকেটে গ্রিনের সঙ্গে জুটিতে ৫৭ রান যোগ করে বুমরাহর বাউন্সারে ঠকে যান কামিন্স৷ ১০৩ বল খেলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান অজি পেসার৷
তারপর ১৭৭ রানের মাথায় সিরাজের ডেলিভারিতে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্রিন৷ ১৪৬ বল খেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বাধিক ৪৫ রান করেন তিনি৷ এরপর ভারতীয় বোলারদের জন্য বাকি দু’টি উইকেট তুলে নেওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা৷ অস্ট্রেলিয়ার রান ২০০ ছুঁতেই হ্যাজেলউডকে বোল্ড করে ইনিংস র্যাপ-আপ করেন অশ্বিন৷
প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানে এগিয়ে থাকা ভারতের সামনে সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৭০ রান৷ অ্যাডিলেড ৩৬ রানের বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সতর্ক ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা৷ তারপর ১৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ক্যাপ্টেন রাহানে ও অভিষেককারী শুভমন গিলের অবিভিক্ত হাফ-সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে হাসতে হাসতে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে নেয় ভারত৷ টপ-ক্লাস অজি পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের ৪৫ রানের লড়াকু ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে গিলের ৩৬ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস ভারতকে বড় ব্যবধানে জয়ে এনে দেয়৷