প্রত্যাশামতোই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের অন্তিম টেস্ট ড্র করলেই চলত। কিন্তু ব্রিটিশদের ফের একবার দুরমুশ করেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পা রাখল কোহলিব্রিগেড। চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডকে তারা হারাল ইনিংস এবং ২৫ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা তিন টেস্ট জিতে আগামী জুনে ফাইনালে কিউয়িদের মুখোমুখি কোহলিরা।
অন্তিম টেস্টের তৃতীয়দিন রুট অ্যান্ড কোম্পানির জন্য ফের দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিলেন অক্ষর প্যাটেল-রবিচন্দ্রন অশ্বিন জুটি। ভারতের এই স্পিনিং জুটি যেন গোটা সিরিজে ভূত হয়ে তাড়া করে ফিরল ব্রিটিশদের। পন্তের ঝকঝকে শতরান (১০১) এবং অর্ধশতরান করে অপরাজিত ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানে লিড নিয়ে দ্বিতীয়দিনের খেলা শেষ করেছিল টিম ইন্ডিয়া।
তৃতীয়দিন স্কোরবোর্ডে আরও ৭১ রান তুলে প্রথম ইনিংস শেষ হয় ভারতের। দ্বিতীয়দিন ৬০ রানে অপরাজিত ওয়াশিংটন ৯৬ রানে অপরাজিত রয়ে যান। টেল-এন্ডাররা আরেকটু তৎপর থাকলে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যেতে পারতেন তিনি। যদিও ওয়াশিংটনের এই ইনিংস শতরানের চেয়েও মূল্যবান হয়ে থাকবে। সবমিলিয়ে ১৬০ রানে এগিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ হয় টিম ইন্ডিয়ার।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের অবস্থা প্রথম ইনিংসের চেয়েও শোচনীয়। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করা ইংল্যান্ড ৯১ রানে ৬ উইকেট খুঁইয়ে চা-বিরতিতেই ইনিংস হার কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে। অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাঁড়াশি স্পিন আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন জো রুটরা৷ চা-বিরতির আগে ৩০ রান করে ইংরেজ অধিনায়ক ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের স্পিনে লেগ-বিফোর হয়ে ফেরেন তিনি।
আর চা-বিরতির পর ড্যান লরেন্সের ব্যাটে ইনিংস হার বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ইংরেজরা। কিন্তু টেল-এন্ডারদের কারও থেকে যথোপযুক্ত সাহায্য পাননি তিনি। শেষ অবধি অর্ধশতরান পূর্ণ করে ড্যান লরেন্স (৫০) ফিরতেই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের যবনিকা নেমে আসে। অক্ষর-অশ্বিন জুটির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংরেজরা। ৫টি করে উইকেট ভাগ করে নেন অক্ষর প্যাটেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাত্র তিনদিনেই চতুর্থ টেস্টের ইতি টেনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া।