প্রথম একাদশে তিনি সুযোগ পান না। কিন্তু সেই ‘ব্রাত্য’ শেলডন জ্যাকসনই জ্বলে উঠলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রস্তুতি ম্যাচে। তাঁর সৌজন্যেই পার্পল টিমকে হারিয়ে দিল কেকেআর গোল্ড টিম। যিনি সাতটি ছক্কা মেরেছেন। জ্যাকসনকে যোগ্যসংগত করেন কমলেশ নাগরকোটি।
মঙ্গলবার আন্তঃদল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে কেকেআর। প্রথমে ব্যাটিং করে শুভমন গিলের কেকেআর পার্পল। শুরুটা দুর্দান্ত করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং দীনেশ কার্তিক। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। ৪০ বলে ৬০ রান করে আউট হন কার্তিক। ভেঙ্কটেশ করেন ৪১ বলে ৬৮ রান। বেন কাটিংয়ের বলে হাঁটু মুড়ে রিভার্স স্কুপে চার মেরে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। পরে রাহুল ত্রিপাঠীর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২২৩ রান তোলে কেকেআর পার্পল।
আবুধাবির ঢিমেগতির পিচে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খায় কেকেআর গোল্ড। কাটিং কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাঁর ইনিংস। করুণ নায়ার কিছুটা চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং পরপর উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় করুণের দল। মনে হচ্ছিল, কেকেআর গোল্ড টিমের হাত থেকে ম্যাচ কার্যত বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু অন্য পরিকল্পনা ছিল শেলডনের। একের পর এক পার্পল বোলারকে মাঠের বাইরে ফেলতে থাকেন। পবন নেগিকে এক ওভারে বেধড়ক মারেন। শেলডনের সেই তাণ্ডবের সময় তাঁর সঙ্গে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন নাগরকোটি।
শেলডন এবং নাগরকোটির জুটির সুবাদে ম্যাচে ফেরে কেকেআর গোল্ড। শেষ দু’ওভারে কেকেআর গোল্ডের দরকার ছিল ৩২ রান। ১৯ তম ওভারের প্রথম দুটি বলে দুটি ছক্কা মারেন শেলডন। শেষ বলে মারেন চার। তার ফলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। কিন্তু পার্পল দলের দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে কোনও বড় শট নিতে পারেননি শেলডন। শেষপর্যন্ত এক বলে জয়ের জন্য গোল্ড দলের দরকার ছিল আট রান। কিন্তু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পার্পল বোলার। বাকি বলটা করতে আসেন রাহুল। প্রথম বল ওয়াইড করেন। দ্বিতীয় বল নো করেন। তার ফলে শেষ বলে দু’রান দরকার ছিল। যে রানটা তুলে নিয়ে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেয় কেকেআর গোল্ড টিম।