এই মরশুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রাজস্থান রয়্যালসকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন জোস বাটলার। ব্রিটিশ তারকাই কিন্তু দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে এই বছর। কয়েকটি ম্যাচ খারাপ গিয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাটলারের কাঁধে ভর করেই রাজস্থান একের পর এক গাঁট পার করে ফাইনালে উঠেছিল দীর্ঘ ১৪ বছর পর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
আর এই বছর বাটলারের সঙ্গে ২০১৬-র বিরাট কোহলির কাকতালীয় হলেও বহু মিল। কোহলির মতো এই বছর বাটলারও যেন মহাভারতের ট্র্যাজিক হিরো কর্ণ। ৬ বছর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ৯৭৩ রান করেছিলেন বিরাট। জিতেছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। সে বার আইপিএলে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স ছিল প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়কের। তিনি তাঁর টিমকে ফাইনালেও নিয়ে যান। তবু সে বার আইপিএল জেতা হয়নি ব্যাঙ্গালোরের। এ বার যেমনটা হল বাটলার এবং তাঁর টিম রাজস্থানের সঙ্গে। বাটলারও তাঁর টিমকে ফাইনালে নিয়ে যান, অরেঞ্জ ক্যাপ জেতেন, তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না রাজস্থান।
২০১৬ সালে আরসিবি-কে হারিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই বছর রাজস্থানকে হারিয়ে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হল গুজরাট টাইটানসও। বাটলার ১৭ ইনিংসে ৮৬৩ রান করেন। এ ছাড়াও কোহলির মতো এক মরশুমে চারটি সেঞ্চুরি সহ রাজস্থানকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিলেন ব্রিটিশ তারকা৪।
কিন্তু মিলের তালিকা এখানেই শেষ নয়। ব্যাঙ্গালোর এবং রাজস্থান দুই দলই তাদের নিজ নিজ মরশুমে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে প্লে-অফে উঠেছিল। এবং এ বারের মতো ২০১৬-তেও গুজরাটের (গুজরাট লায়ন্স) একটি টিম লিগ তালিকার শীর্ষে শেষ করেছিল। মজার বিষয় হল, ২০১৬ এবং ২০২২ দুই মরশুমের ফাইনাল ২৯মে খেলা হয়েছিল।
টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হওয়ার পর বাটলার বলেছেন, ‘আমার সব প্রত্যাশা শেষ হয়ে গেল- এই ট্রফি আমরা সত্যিই চেয়েছিলাম। আমি হতাশ। হার্দিক আর ওর দলকে অনেক অভিনন্দন। যোগ্য চ্যাম্পিয়ন ওরা। আমার লক্ষ্য ছিল, দলের জন্য আমার ভূমিকা পালন করা এবং খেলায় আমার থেকে কী চাওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে চেষ্টা করা। ভালো দলের ক্ষেত্রে সকলের উপর অনেক আস্থা থাকে। আমাদের দলের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা রয়েছে। আজ খেলার সুযোগের জন্য খুবই কৃতজ্ঞ। হতাশ – এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যবশত আমার কেরিয়ারে বহু ফাইনালই হেরেছি।’