সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই দায়ে এবার দুই বছর নিষিদ্ধ হতে চলেছেন বোরিয়া মজুমদার। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঋদ্ধিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বোরিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে আগামী দুই বছর দেশের কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি পাবেন না বোরিয়া। তাছাড়া আইসিসিকেও একটি চিঠি লিখে বোরিয়াকে ‘ব্যাকলিস্ট’ করার আবেদন জানাবে বিসিসিআই।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার নিতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলেন বোরিয়া। তবে ঋদ্ধি সেই মেসেজের কোনও জবাব না দেওয়ায় ‘হুমকি’ দেন বোরিয়া। পরবর্তীতে বোরিয়ার নাম প্রকাশ না করেই সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন ঋদ্ধি। ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে বিসিসিআই। ঋদ্ধি সেই হুমকিদাতা সাংবাদিকের নাম না জানালেও অবশেষে তিনি নিজেই সামনে আসেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে নিজেই সেই মেসেজ পাঠানোর কথা স্বীকার করেন বোরিয়া। তবে ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে তাঁর মেসেজের দিনক্ষণ বদলে তাঁর বিরুদ্ধে অযাচিত আরোপ লাগানোর পাল্টা অভিযোগ জানান বোরিয়া। বোরিয়ার অভিযোগ ছিল, তিনি ঋদ্ধিমানকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ম্যাসেজ করেছিলেন, যেটা ঋদ্ধি তাঁর ছয়দিন পর ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আপলোড করেন। ঋদ্ধিকে ফোন করার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বোরিয়া দাবি করেন, ১৩ ফেব্রুয়ারির পরে তিনি ঋদ্ধির সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেননি। পাশাপাশি ঋদ্ধিকে পালটা তোপ দেগে তিনি অভিযোগ করেন, স্রেফ সহানুভূতি কুড়ানোর জন্যই এই মেসেজ এতদিন পরে আপলোড করেছেন পাপালি। বোরিয়ার দাবি, ঋদ্ধির তাঁকে সাক্ষাত্কার দেওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি দেননি। এই আবহে তিনি রেগে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারকে মেসেজ করেছিলেন। সেইসঙ্গে ঋদ্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুমকি দেন বোরিয়া।
কী ঘটেছিল?
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে টুইটারে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ঋদ্ধি। সঙ্গে লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকের থেকে এরকম বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।’
ঋদ্ধির আপলোড করা স্ক্রিনশটে যা ছিল –
রাত ১০ টা ১৮ মিনিটে এক নম্বর থেকে আসা হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে লেখা আছে, ‘আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ কর। (তোমার জন্য) ভালো হবে।’ এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। তাতে বলা হয়, ‘ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যাঁরা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।’ রাত ১০ টা ৪৩ মিনিটের একটি মেসেজে বলা হয়, ‘তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারে সহজে অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।’