টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাতিল হবে, এখনও জানা যায়নি। কিন্তু তার মধ্যেই আইপিএল (IPL) নিয়ে শুক্রবার অনলাইনে অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে বসে পড়ছে ভারতীয় বোর্ড (BCCI)। টুর্নামেন্টের ব্লু প্রিন্ট সাজাতে। সব মিলিয়ে এগারোটা বিষয় নিয়ে কথা হবে। যার মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নির্ধারণ থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড সিরিজের সূচি নতুন করে ঠিক করা, বিহার ক্রিকেট সংস্থার প্রশাসনিক ঝামেলা মেটানো, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নিয়ে আলোচনা- সবই থাকবে। তবে সবার উপর থাকবে আইপিএল প্ল্যান।
বোর্ডের ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ এ দিন ফোনে বলছিলেন যে, অস্ট্রেলিয়ায় আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। যার ফলে আইসিসি-র এবার বিশ্বকাপ বাতিল করা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সূচি অনুযায়ী, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে গেলে সেপ্টেম্বর মাসের শেষাশেষি হবে আইপিএল। হালফিলে সেটা কোথায় হবে, দেশে না বিদেশে তা নিয়ে প্রচুর চর্চা চলেছে। প্রথম দিকে দেশে করার কথা ভাবা হলেও যে ভাবে ভারতের করোনা পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে, তাই আইপিএল বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বোর্ডের কোনও কোনও কর্তা এ দিন বললেন যে, আরব আমিরশাহি কিংবা শ্রীলঙ্কায় আইপিএল নিয়ে যাওয়াই যায়।
কিন্তু তাতে খরচ অনেকটা বাড়বে। আবার দেশের পরিস্থিতিও সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ কী দাঁড়াবে, কেউ জানে না। আইপিএল শেষ পর্যন্ত কোথায় করা যাবে, তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন কারণ প্রতি মিনিটে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। কিন্তু বিকল্প প্ল্যান সব তৈরি করে রাখা হবে। যাতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একবার বাতিল করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমে পড়া যায়। যা খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের ঘোষণা আগামী সপ্তাহেই করে দিতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কারণ আগামী সোমবার আইসিসি বৈঠক আছে।
পাশাপাশি চলতি মরসুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের ছবিটা কেমন হবে, তা নিয়েও কথাবার্তা চলবে বৈঠকে। কারণ- সেটাও একটা ঘোরতর চিন্তার বিষয়। রনজি ট্রফির ফরম্যাট যে পালটাবে, ম্যাচ কমানো হবে, এটা বেশ কিছু দিন শোনা যাচ্ছিল। সেটা হতেও চলেছে। বোর্ড চেষ্টা করছে, একই সঙ্গে বিজয় হাজারে ট্রফি, দলীপ ট্রফি, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সব একসঙ্গে করিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। তবে বোর্ড মনে করছে, যে কোনও একটা টুর্নামেন্টকে বাদ দিলেও দিতে হতে পারে। কারণ জুনিয়র টুর্নামেন্টগুলোও করাতে হবে।