এ খেলার পরতে পরতে চমক। প্রথমে ব্যাট করে রাহুল, কোহলির ব্যাটে ভর করে ভারত পৌঁছয় ১৮৪ রানে। দীর্ঘ দিন পর কুড়ির ক্রিকেটে অর্ধশতরান রাহুলের ব্যাট থেকে। তাঁর পরে খেলা ধরেন কোহলি। যোগ্য সঙ্গত সূর্যকুমার, অশ্বিনের। যদিও রোহিত, হার্দিক, দীনেশ কার্তিকদের চিন্তা রয়েই গেল ভারতের।
০২১৪
বাংলাদেশ প্রথম ৭ ওভারে রীতিমতো ঝ়ড় তোলে। লিটন দাসের ব্যাট যেন হয়ে ওঠে গদা। বৃষ্টির জন্য খেলা যখন থামল তখন লিটন অপরাজিত ৬০ রানে। খেলেছেন মাত্র ২৭ বল। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর অশ্বিনের ওভারের দ্বিতীয় বলেই রান আউট হয়ে গেলেন লিটন। খেলায় ফিরল ভারত।
০৩১৪
ব্যাট হাতে ভারত ১৮৪ করলেও বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশকে করতে হত ১৫১ রান। হাতে ১৬ ওভার। সেই খেলা ৫ রানে জিতে নিল রোহিতের ভারত।
০৪১৪
কে এল রাহুল— অনেক দিন ভাল রান নেই ব্যাটে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সে সব পিছনে ফেলে ৩২ বলে ৫০ করলেন রাহুল। মারলেন চারটি বিশাল ছক্কা। ফর্মে ফেরার জোরালো ইঙ্গিত। সেই সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান আউট করে ফেরালেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা লিটন দাসকে। সব মিলিয়ে রাহুল দশে পেলেন সাড়ে ৮।
০৫১৪
রোহিত শর্মা— রোহিত তখন ১ রানে ব্যাট করছেন। তাসকিনের বলে হাসান মাহমুদ ক্যাচ ফেললেন ডিপ স্কোয়ার লেগে। পরের ওভারেই ৭ বলে ২ রান করে হাসানেরই বলে ফিরলেন রোহিত। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন হিটম্যান, স্বভাবতই ইনিংসও দীর্ঘায়িত হল না। অধিনায়কত্বে ‘ফুল মার্কস’ পেলেও রানের মতোই দশে রোহিত পেলেন মাত্র ২।
০৬১৪
বিরাট কোহলি— রানের ফুলঝুরি ছুটছে বিরাটের ব্যাটে। বাঁ হাতি জোরে বোলারদের হেলায় সামলে এ দিনও দুরন্ত অর্ধশতরান কোহলির। খেললেন ৪৪ বল, রান করলেন ৬৪। দশের মাপকাঠিতে কোহলি সাড়ে ৯। ম্যাচের সেরাও তিনিই।
০৭১৪
সূর্যকুমার যাদব— ভারতের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৬টি বল খেলে করলেন মহা মূল্যবান ৩০ রান। মূলত সূর্যের তেজেই মাঝের ওভারগুলোতে তরতরিয়ে রান বাড়াল ভারত। ফিল্ডিংয়েও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। সব মিলিয়ে দশে সূর্য পাচ্ছেন সাড়ে ৬।
০৮১৪
অক্ষর পটেল— হাসান, সাকিবদের বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠতে দেখা গেল না অক্ষরকে। ব্যাট হাতে ৬ বল খেলে ৭ রানেই শেষ অক্ষরের ইনিংস। বল হাতেও উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারলেন না। দশের মধ্যে অক্ষর পাচ্ছেন ৩।
০৯১৪
হার্দিক পাণ্ড্য— বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে ব্যাট হাতে আবার ব্যর্থ হার্দিক। খেলেছেন ৬টি বল। করেছেন মাত্র ৫ রান। বল হাতে শেষ দিকে অবশ্য জ্বলে উঠলেন পাণ্ড্য। এক ওভারে নিলেন দু’টি উইকেট। তাই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে দশে হার্দিকের প্রাপ্তি ৬।
১০১৪
দীনেশ কার্তিক— খেলেছেন ৫টি বল। করেছেন ৭ রান। তার মধ্যে একটি চার। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ডিকের ইনিংস। গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে গলালেন একটি ক্যাচ। বাকি ম্যাচে চলনসই। দশের মাপকাঠিতে ডিকে পাচ্ছেন সাড়ে ৩।
১১১৪
আর অশ্বিন— ব্যাট হাতে মাত্র ৬ বলে মূল্যবান ১৩ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডিং। বৃষ্টিবিঘ্নিত বাংলাদেশ ম্যাচে বল করতে এসেই রান আউট লিটন। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে অশ্বিন পাচ্ছেন সাড়ে ৬।
১২১৪
ভুবনেশ্বর কুমার— ব্যাটের সুযোগ আসেনি। বল হাতেও নজর কাড়তে ব্যর্থ ভুবি। শুরুর ওভার ভাল গেলেও তার পর থেকে বার বার ভুবির বল ছিটকে গেল বাউন্ডারির বাইরে। দশের মাপকাঠিতে ভারতের ‘ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ’ ভুবনেশ্বরকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ৪ পেয়ে।
১৩১৪
মহম্মদ শামি— ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা লিটন দাসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট লাইন ও লেংথে বল করার বদলে অযথা পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে গেলেন শামি। দু’ওভার বল করে দিয়েছেন ২১ রান। বৃষ্টি থামার পর তৃতীয় ওভার করতে এসেই সাফল্য। শান্তকে ফিরিয়ে দিলেন শামি। দশের মাপকাঠিতে শামি পাচ্ছেন ৬।
১৪১৪
আরশদীপ সিংহ— বাঁ হাতের এই জোরে বোলার বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নজর কাড়লেন বল হাতেই। খেলার বাকি তখন মাত্র ৩০ বল। সেই সময় বল করতে এসে দুরন্ত বল করলেন আরশদীপ। এক ওভারে নিলেন দু’টি উইকেট। শেষ ওভারেও উত্তেজনা ধরে রাখলেন। দশের মাপকাঠিতে তরুণ এই জোরে বোলার পাচ্ছেন ৭।