রোহিত শর্মা কি ভুল থেকে শিক্ষা নেন না? নাকি একই ভুল বার বার করে যাওয়া অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে তাঁর? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর এই প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়েছে। এশিয়া কাপে বার বার ব্যর্থতার পর কেন সেই ভুবনেশ্বর কুমারকেই ১৯তম ওভার দেওয়া হল? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের যদিও বা জেতার ক্ষীণ আশা ছিল, মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের ওই একটা ওভার ম্যাচ শেষ করে দিয়ে গেল।
১৮তম ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার জিততে দরকার ছিল ১৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতা যায় না, এমনটা নয়। কিন্তু ভুবনেশ্বর সেই সুযোগটাও বাঁচিয়ে রাখেননি। প্রথম বলটিই করলেন ওয়াইড। পরের তিন বল থেকে এল আরও তিন রান। শেষ দিন বলে তিনটি চার মারলেন ম্যাথু ওয়েড। এক ওভারে উঠল ১৬ রান। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াল দু’রান। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ওভারে একটিও উইকেট না নিয়ে ৫২ রান দিলেন ভুবনেশ্বর।
১৯তম ওভারে তাঁর বোলিং কতটা খারাপ, এশিয়া কাপের দু’টি ম্যাচের উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। পাকিস্তানের জিততে ১২ বলে ২৬ দরকার ছিল। একটি ছয় এবং দু’টি চার-সহ সেই ওভারে ১৯ রান দেন ভুবনেশ্বর। সেই ওভারেই ম্যাচ বেরিয়ে যায়। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও একই দৃশ্য। সেই ম্যাচে ১২ বলে শ্রীলঙ্কার জিততে দরকার ছিল ২১। ভুবনেশ্বর দিলেন ১৪ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রয়েছেন ভুবনেশ্বর। এ দিকে মহম্মদ শামিকে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারে। নির্বাচকদের যুক্তি, টি-টোয়েন্টিতে আর ভাবা হচ্ছে না শামিকে। তাঁকে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটের জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে। ভুবনেশ্বর কোন যুক্তিতে টি-টোয়েন্টি দলে থাকার জোরালো দাবিদার, সেটার সপক্ষে যুক্তিও পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে দু’-একটি ম্যাচ ছাড়া ভুবনেশ্বর এমন কিছু আহামরি বোলিং করেননি, যাতে তাঁর অস্ট্রেলিয়ার বিমানের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে।
সব ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে শামির থাকার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে কোভিড হয়ে যাওয়ায় ছিটকে গিয়েছেন। ভুবনেশ্বরের এমন ‘ধারাবাহিকতা’ পরের ম্যাচেও বজায় থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আচমকা শামির কপালে শিকে ছিঁড়তেও পারে।