বর্ণবাদ কান্ডে উত্তাল ইংলিশ ক্রিকেট। আজিম রফিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ণবাদ বিতর্কের জেরে ইয়র্কশায়ারের থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠানের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কাউন্টি ক্লাবের অনেক স্পন্সরাও সরে গিয়েছেন। এবার ফের এক বিতর্কের কেন্দ্রে জো রুটদের কাউন্টি ক্লাব।
প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার টিনো বেস্ট ইয়র্কশায়ারের হয়ে ২০১০ মরশুমে খেলেছিলেন। তাঁর মতে কাউন্টি দলগুলিতে অত্যাধিক পরিমাণে মদ্যপান করা শেত্বাঙ্গ এবং এশিয়ান ঘরানার খেলোয়াড়দের অন্যতম বড়। দক্ষিণ আফ্রিকান হাশিম আমলার সঙ্গে ঘটা এক ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, ‘একজন ব্যক্তি যে হাশিম আমলার টেবিলেই বসেছিল, সে আমলাকে প্রায় তিন-চার ঘন্টা ধরে মদ্যপান করার জন্য জোরাজুরি করছিল। মিনিটে মিনিটে একবার এটা একবার ওটা পান করতে বলছিল। হাশিম খুবই ভাল মানুষ এবং শান্ত গলায় তিনি জানান যে তিনি মদ্যপান করেন না। তা সত্ত্বেও হাশিমকে জোর করা হলে আমি অবশেষে বাধ্য হয়ে ওই ব্যক্তিকে থামতে বলি।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
হাশিম আমলা কঠোরভাবে নিজের ধর্মে বিশ্বাসী। তিনি মদ্যপান করা তো দূর, মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার লোগো দেওয়া জার্সি অবধি পরে মাঠে নামতেন। শুধু যে আমলার সঙ্গে এমনটা হয়েছে তা নয়, বেস্ট জানান কাউন্টি ক্রিকেটে সংস্কৃতিটাই এমন। ‘এখানে ক্রিকেটের পাশাপাশি সংস্কৃতিই হল মদ্যপান করা এবং এটা বিশাল বড় একটা সমস্যা। ক্লাবে গিয়ে আট, নয়টা বোতল মদ খাওয়ার জন্য কাউকেই জোর করা অনুচিত। এই সংস্কৃ্তি যদি কেউ না মানত, তাহলে তারা বয়েজ ক্লাবের সদস্যও হতে পারত না এবং দলে সুযোগও পেত না। এটা কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ান ধারার ক্রিকেটারদের প্রভূত ক্ষতি করছে।’ যোগ করেন তিনি।
ইয়র্কশায়ারের কথা বলতে গিয়ে বেস্ট জানান দলের ক্রিকেটারদের যে ভঙ্গিমায় কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ান ঘরানার ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলত তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ‘আমি কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় সবসময় ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। ওরা ২০১০ সালের দিকে যেসব ভাষায় কখা বলত, তা ভাবাও যায় না।’ দাবি বেস্টের।