মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বেশ আঁটসাট বন্দোবস্তই করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympic) শুরুর আগেই প্রথম করোনা পজিটিভের হদিশ মিলল গেম ভিলেজে। আয়োজকদের তরফেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত বছর অলিম্পিকের আসর বসার কথা থাকলেও করোনার (COVID-19) জেরে এক বছর পিছিয়ে যায় এই মেগা ইভেন্ট। আগামী ২৩ জুলাই টোকিওতে শুরু হতে চলেছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। কিন্তু তার দিন ছয়েক আগেই বাড়ল উদ্বেগ। শনিবার আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হল, গেম ভিলেজে থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯। আয়োজক কমিটির মুখপাত্র মাসা তাকায়া জানান, গেম ভিলেজে প্রত্যেকেরই স্ক্রিনিং টেস্ট হচ্ছে। আর সেখানেই একজন করোনা পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে। টোকিও অলিম্পিকের ভিলেজে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা শোনা গেল। তবে আক্রান্তের নাম-পরিচয় গোপনই রাখা হয়েছে। শুধু জানানো হয়, সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁকে গেম ভিলেজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আপাতত একটি হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন আক্রান্ত।
প্রতিবারের মতো এবারও গেম ভিলেজেই থাকবেন হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী। অতিমারীর কারণে অন্যান্যবারের থেকে এবার কড়াকড়িও বেশি। প্রতিযোগীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা, সঙ্গম না করার মতো নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মারণ ভাইরাস থাবা বসাল গেম ভিলেজে। স্বাভাবিকভাবেই ইভেন্ট শুরুর আগেই এই ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ। তবে আয়োজকরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানাচ্ছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। সংক্রমণ রুখতে সমস্ত ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্য আয়োজক সেইকো হাসিমতো বলেন, “কোভিড যাতে না ছড়ায়, সে ব্যাপারে আমরা সদা সতর্ক। আর একান্তই সংক্রমণ ঢুকে পড়লে আমাদের বিকল্প প্ল্যানও ভাবা আছে।”
উল্লেখ্য এবারের অলিম্পিকে খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ২২৭ জনের ভারতীয় দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন ১২৬ জন প্রতিযোগী। পদকজয়ের লক্ষ্যে অলিম্পিকের মোট ১৮টি ইভেন্টে অংশ নেবেন ভারতীয়রা। ইতিমধ্যেই টোকিও পৌঁছে গিয়েছেন ভারোত্তলক মীরাবাঈ চানু। হাজির ভারতীয় হকি দল এবং শুটাররাও।