২০২২ আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে তিনি নিজের দলকে প্লে-অফে নিয়ে যান এবং অন্যদিকে তার নেতৃত্বে প্লে অফের এলিমিনেটর ম্যাচেও হেরে যায় লখনউ। জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেএল রাহুলের নেতৃত্বে ভারত সিরিজে পরাজিত হয়েছিল। সেই কেএল রাহুলের নেতৃত্বেই আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে নামবে ভারত। এবার কেএল রাহুলের অধিনায়কত্বের দিকে বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের কড়া নজর থাকবে।
রোহিত শর্মার পরে কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্ত ছিলেন দুটি সম্ভাব্য অধিনায়কত্বের বিকল্প। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেএল রাহুলকে তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থভাবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং টিম ইন্ডিয়া ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ০-৩ ব্যবধানে হেরে যায়। সেই সময় কেএল রাহুলের সাথে বিরাট কোহলিও দলের অংশ ছিলেন।
নির্বাচক কমিটির একজন সদস্য ইনসাইডস্পোর্টকে বলেছেন, ‘কেএল রাহুলের অধিনায়কত্বের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। ভুবনেশ্বরই তার চারপাশে একমাত্র সিনিয়র হবেন এবং একজন সম্ভাব্য ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে এটাই হবে তার জন্য সেরা পরীক্ষা। আমি বলব না যে তার উপর চাপ থাকবে তবে অবশ্যই তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
নির্বাচক কমিটির সেই সদস্য আরও বলেন, ‘দেখুন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে, এটি তার জন্য একটি নতুন কাজ ছিল। এটি একটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নয়। অধিনায়কত্বে অনেক চাপ রয়েছে। সে কিছু ভুল করেছে কিন্তু সে তার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ যেখানে এটা বেঞ্চমার্ক হবে। আমি নিশ্চিত সে তার খেলার উন্নতি করবে।’
তবে এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে যে, বিসিসিআই চায় ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড তাদের ফিটনেস প্রমাণ করুক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য নির্বাচিত প্রত্যেক প্লোয়ারকে নিজেদের ফিটনেস পরীক্ষায় সফল হতে হবে। ৫ জুনের মধ্যে এনসিএ-তে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন স্কোয়াডকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।