এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল খেলার পুরস্কার পেলেন হার্দিক পাণ্ড্য। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি-র অলরাউন্ডারদের তালিকায় আট ধাপ উঠলেন তিনি। আইসিসি যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন হার্দিক। তাঁর পয়েন্ট ১৬৭। কেরিয়ারে এই প্রথম আইসিসি-র অলরাউন্ডারদের তালিকায় এত উপরে উঠলেন তিনি।
আইসিসি-র অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে মহম্মদ নবি। আফগানিস্তানের অধিনায়কের পয়েন্ট ২৫৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়কের পয়েন্ট ২৪৫। তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইংল্যান্ডের মইন আলি ও অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মইন ও ম্যাক্সওয়েলের পয়েন্ট যথাক্রমে ২২১ ও ১৮৩।
চোটের কারণে দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে ছিলেন হার্দিক। সেই সময় ক্রমতালিকায় অনেকটা পিছিয়ে যান তিনি। কিন্তু চোট সারিয়ে ফেরার পর থেকে দারুণ ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। হার্দিকের অধিনায়কত্বে আইপিএল জিতেছে গুজরাত টাইটান্স। ভারতের হয়েও ব্যাটে-বলে রোহিত শর্মাকে ভরসা দিচ্ছেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার।
হার্দিকের প্রশংসা করেছেন কপিল দেব। তাঁর দাবি, হার্দিক ফিরে আসায় নতুন অলরাউন্ডার খোঁজার আর দরকার নেই। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে কপিল বলেছেন, ‘‘আর অলরাউন্ডার খুঁজতে হবে কেন? হার্দিক পাণ্ড্য ফিরে এসেছে। দুর্ধর্ষ ক্রিকেটার। দারুণ ম্যাচউইনার। পাকিস্তান ম্যাচেও সেটা প্রমাণ করে দিল। হার্দিক যথেষ্ট যোগ্য অলরাউন্ডার। কী রকম দুর্দান্ত ম্যাচ জেতাল দেখুন। তা-ও কি না পাকিস্তান ম্যাচ!’’ চোট সারিয়ে ফেরা এই হার্দিককে নিয়ে কপিল উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘‘বড় চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে দলকে জেতানো সহজ ব্যাপার নয়। হার্দিক সফল ভাবে তা করে দেখাচ্ছে। আইপিএলে দারুণ খেলেছে, পাকিস্তান ম্যাচ দারুণ খেলে জেতাল।’’
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে বল হাতে জ্বলে উঠেন হার্দিক। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। তার মধ্যে মহম্মদ রিজওয়ানের উইকেট রয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে এক মাত্র সফল ব্যাটার রিজওয়ান। ৪৭ রান করেন তিনি। তাঁকে আউট করে বাবর আজমদের বড় ধাক্কা দেন হার্দিক। দুবাইয়ের উইকেটে হার্দিকের বাউন্সার সামলাতে সমস্যায় পড়েন পাক ব্যাটাররা।
পরে ব্যাট হাতেও দাপট দেখান হার্দিক। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন কিছুটা চাপে ভারত। কিন্তু রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। শেষ দু’ওভারে মারমুখী মেজাজে ছিলেন হার্দিক। তিন বলে জিততে ছ’রান দরকার ছিল ভারতের। ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান তিনি। ১৭ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।