শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে হাসপাতালের চেহারা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ মিলিয়ে কমপক্ষে সাত জন অসুস্থ। গুরুতর অসুস্থ জোরে বোলার শরিফুল ইসলাম।
একে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি। সঙ্গে দোসর অসুস্থতা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বিপদে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকা যাচ্ছিলেন মহম্মদ মাহমুদুল্লা, শাকিব আল হাসানরা। সেখানেই হবে সিরিজের প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পথেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটার। বিমানে না গিয়ে সমুদ্রপথে পাঠানো হয় বাংলাদেশ দলকে। উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগরের পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটার। অনেকেই বমি করতে শুরু করেন।
পাঁচ ঘণ্টার যাত্রাপথের শুরুটা খারাপ হয়নি। ক্রিকেটাররা জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে ছবি, নিজস্বী তুলছিলেন। উপভোগ করছিলেন সমুদ্রযাত্রা। এর পরেই হয় বিপত্তি। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উত্তাল ছিল সমুদ্র। শাকিবদের জাহাজ মাঝসমুদ্রে যখন পৌঁছয়, তখন সেখানে ছয়-সাত ফুট উঁচু ঢেউ। প্রবল দুলতে শুরু করে জাহাজ। ভয়ে জাহাজের ডেক থেকে ভিতরে চলে আসেন ক্রিকেটাররা। অনেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।
শরিফুল ছাড়াও ‘মোশন সিকনেসে’ সব থেকে কাহিল হয়ে পড়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান এবং দলের ম্যানেজার নাসিফ ইকবাল। আরও অনেকেই বমি করেন জাহাজে। সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকায় প্রতিদিনই যাত্রা করে জাহাজটি। বেশ কয়েকটি দ্বীপ হয়ে ডমিনিকা পৌঁছয়। জাহাজে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা ছিলেন। কিছু যাত্রীও ছিলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সমুদ্রযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই ভয় ছিল। লিটন দাস, মেহদি হাসানদের সমুদ্রযাত্রার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অনেকে আপত্তিও করেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবে আগেই রাজি হয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবি কেন সমুদ্রযাত্রায় রাজি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার সুস্থ প্রথম একাদশ মাঠে নামানোই এখন চ্যালেঞ্জ মাহমুদুল্লার। তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন জাহাজে। গোটা ঘটনায় বিসিবি কর্তাদের উপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।