পিছিয়ে গেল এএফসি কাপের ম্যাচ, ২১ মার্চই হবে আইএসএল ফাইনাল?

সব ঠিকঠাক চললে এবারের আইএসএল ফাইনাল হতে চলেছে ২১ মার্চ। এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সংগঠক এফএসডিএলের (FSDL) সে রকমই ইচ্ছে। খুব দ্রুতই হয়তো পরবর্তী ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করে তা জানিয়েও দেওয়া হবে।

আইএসএলের (ISL 2020) ক্রীড়াসূচি তৈরি করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে পড়েন এফএসডিএল কর্তারা। এএফসির প্রস্তাব মতো জানুয়ারিতে এএফসি কাপ (AFC Cup) হলে বায়ো বাবলের কথা মাথায় রেখে কীভাবে আইএসএল চালানো সম্ভব হবে?

আইএসএলের তিনটি দল এটিকে মোহনবাগান, এফসি গোয়া এবং বেঙ্গালুরু এফসির প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা। তিনটি দলই ঠিক করেছিল, গোয়াকেই তাদের হোম ম্যাচ হিসেবে দেখাবে। সেক্ষেত্রে এএফসির হোম ম্যাচ খেলতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচের ক্ষেত্রে কী হবে? কারণ, অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হলে বায়ো বাবলের বাইরে যেতেই হবে। এবার বিদেশে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরলে ফের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে বায়ো বাবলে ঢুকতে হবে। মানে টানা ১৪ দিন প্র্যাকটিসের বাইরে থাকতে হবে। আর এটাতেই দলগুলোর মূল আপত্তি ছিল। ১৪ দিন প্র্যাকটিসের বাইরে থাকলে ম্যাচ ফিটনেস চলে যাওয়ার সম্ভাবনা। এর উপর এক-একটা দল বারবার করে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বাইরে যাবে, ফের ফিরে কোয়ারন্টাইনে গেলে সেই সময় আইএসএলের ম্যাচ চলবে কী করে? ফলে এসব সমস্যা মেটাতে গিয়েই ক্রীড়াসূচি তৈরি করতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এমনকী এএফসি কাপের ক্রীড়াসূচি নিয়ে জট না খোলায় ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইএসএলের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে এফএসডিএল। পাশাপাশি এএফসিকে তাদের ম্যাচ অন্য সময় ফেলার অনুরোধ জানিয়ে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়।

অবশেষে এএফসির পক্ষ থেকে এসেছে সেই চিঠির উত্তর। এএফসি জানিয়েছে, আপাতত এএফসি কাপের ম্যাচ জনুয়ারিতে স্থগিত রেখে এপ্রিলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এএফসির তরফে তাদের ক্রীড়াসূচি জানা মাত্রই নিজেদের মধ্যে আইএসএলের পরবর্তী ক্রীড়াসূচি ঠিক করা নিয়ে আলোচনায় বসে পড়েন এফএসডিএল কর্তারা। তাতে আপাতত ঠিক হয়েছে, এই মরশুমের আইএসএল শেষ হবে ২১ মার্চ। তাতে মাঝে বিশ্রামের আর কোনও প্রশ্ন নেই। এমনকী, বায়ো বাবল থেকেও আর কোনও দলকে বেরিয়ে যেতে হবে না। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সংগঠকরা। আইএসএলে এখনও তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত মোটামুটি সব ম্যাচই ঠিকঠাক হয়েছে। মাঠে ম্যাচ দেখার সুযোগ না থাকায় টিভির ভিউয়ারশিপ বেড়েছে। বায়ো বাবল নিয়েও কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আর শেষ পর্যন্ত ক্রীড়াসূচি নিয়ে সমস্যা কমে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এফএসডিএল কর্তারা। একইরকম স্বস্তিতে ক্লাবগুলোও। কারণ তারা এবার এএফসি প্রতিযোগিতা খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.