টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিছক মজা করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর চোট পাওয়ার ধরন মনে করিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও পা ভাঙলেন মজা করতে গিয়েই। তাঁর সেই চোট ম্যাক্সওয়েলের টেস্ট দলে ফেরার সব আশা শেষ করে দিতে পারে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে কিছুটা অবসর পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। সেই সময়টা আনন্দ করতে গিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নয়, ম্যাক্সওয়েল চোট পেলেন ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষকের সঙ্গে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ঘোড়ায় চড়ছিলেন, সেই সময়ই ঘটল বিপদ।
আগামী তিন মাস ম্যাক্সওয়েলকে খেলতে দেখা নাও যেতে পারে। বাঁ পায়ের হাড় সরে গিয়েছে তাঁর। অস্ত্রোপচার করে তা ঠিক করতে হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে ম্যাক্সওয়েল নিজেই জানিয়েছেন তাঁর চোট পাওয়ার ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার বলেন, “আমার এক বন্ধু, এক সময় সে আমার শিক্ষক ছিল, আমরা মজা করছিলাম। ওকে তাড়া করছিলাম মজা করেই। সেই সময়ই আমরা পড়ে যাই। এমন ভাবে পড়ি যে আমার পা ভেঙে যায়।” ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন যে, মাটিতে পড়তেই তিনি একটা আওয়াজ পান। তাতেই বুঝতে পারেন যে পায়ে চোট লেগেছে।
ম্যাক্সওয়েল বলেন, “আমি চিৎকার করছিলাম। ও বুঝতেই পারেনি যে আমার সত্যি লেগেছে। ভাবছিল আমি মজা করছি।” চোট বেড়ে যাওয়ার ভয় বেশ কিছু ক্ষণ মাটিতেই শুয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। বন্ধুরা তাঁর উপর তাঁবু খাটিয়ে দেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
শুধু পায়ের হাড় ভাঙাই নয়, লিগামেন্টও ছিঁড়েছে ম্যাক্সওয়েলের। পাঁচ বছর পর টেস্ট খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাঁর। এত বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে মাত্র সাতটি টেস্ট খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি এ বারের গ্রীষ্মে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে টেস্ট দলে ফেরার সুযোগ তৈরি করবেন ভেবেছিলেন। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের আগে। কিন্তু তা এখন আর সম্ভব নয়। তবু আশা ছাড়ছেন না ম্যাক্সওয়েল। তিনি বলেন, “আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে চাইব। কিন্তু আমার শরীর কবে পুরোপুরি তৈরি হবে তা বুঝতে পারছি না। খুব তাড়াতাড়ি জোর ফিরে পেতে চাইব। কেরিয়ারের শেষ দিকে এসে আমি চাইব সব সময় শক্তিশালী থাকতে। সেই সঙ্গে আগামী বিশ্বকাপ এবং সব বড় প্রতিযোগিতায় খেলতে।”