মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরেই এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছিল ভারতীয় দল। তবে তা সত্ত্বেও হংকংকে হারিয়ে গ্রুপ বিজেতা হিসাবে কোয়ালিফাই করাটাই ছিল ব্লু টাইগার্সদের প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে লেটার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ন হলেন সুনীল ছেত্রীরা।
বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে হংকংকে ৪-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের দাপট দেখাল ভারতীয় দল। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটেই আনোয়ার আলি ভারতকে এগিয়ে দেন। প্রথম মিনিটে কর্ণার থেকে সুন্দর ভেরিয়েশনে আশিক কুরুনিয়ানের পায়ে বল আসে। তিনি সেই বল জালে জড়াতে না পারলেও, পেনাল্টি বক্সের ভিড়ের মাঝে আনোয়ার পায়ে বল পেয়ে গোলের ছাদে একেবারে বল জড়িয়ে দেন। ম্যাচের ২৬ মিনিটে জিকসনের বাড়ানো বল থেকে সাহাল ভারতের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পান বটে। তবে তাঁর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
তবে ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার পর হংকংও আক্রমণ শানাতে থাকে। পরপর আক্রমণে ভারতীয় রক্ষণকে একটু ছন্নছাড়াই দেখাচ্ছিল বটে। কিন্তু প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে সেই চাপ অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। জিকসনের ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিক থেকেই সেকেন্ড পোস্টে দুরন্ত রান নিয়ে সুনীল ছেত্রী অনেকটা জায়গা পেয়ে যান। তাঁর জোরালো শট হংকং গোলকিপারের হাতে লাগলেও, তিনি তা প্রতিহত করতে পারেননি। ভারতের লিড দ্বিগুণ করেন ছেত্রী। এটি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৮৪তম গোল।
দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে থেমে থাকেনি ভারত। দ্বিতীয়ার্ধেও তারা শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে যায়। গোল পেয়ে সুনীলও পরের পর সুযোগ তৈরি করেন। তবে আর গোল পাননি তিনি। কিন্তু পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা দুই ফুটবলারমনবীর সিং ও ইশান পন্ডিতা ভারতের হয়ে দুই গোল করেন। প্রথমে ৮৫ মিনিটে ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের পাস থেকে ট্যাপ ইনে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন মনবীর। এরপর ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে আগুনে গতির প্রতিআক্রমণে তিনিই গোলের অ্যাসিস্টটি প্রদান করেন।
ডান দিকে চোরা গতির প্রদর্শন করে মনবীর হংকং রক্ষণকে পিছনে ফেলে দেন। এরপর ডান দিকের উইং থেকে বক্সে সুন্দর পাস পাড়ান তিনি। তাঁর অ্যাসিস্ট থেকে ব্যাকহিলে বল জালে জড়িয়ে দেন সুপার সাব হিসাবে খ্যাত ইশান পন্ডিতা। ৪-০ ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল। ইগর স্টিমাচের অধীনে এটি ভারতের বৃহত্তম জয়। এই জয়ের ফলে নয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের বছরের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করল ভারত।