এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যানুয়েল দিয়াজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বহু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লাল-হলুদ থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেল দিয়াজের। চাকরি গেল তাঁর। যদিও আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মতোই নাকি দিয়াজও নিজেই পদত্যাগ করেছেন, এমনটাই অন্তত জানা গিয়েছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টের তরফে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ম্যানুয়েল দিয়াজের সঙ্গে যাবতীয় কথাবার্তা বলে নেওয়া হয়েছিল। এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তাঁকে বিদায়ের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন। এমন কী মঙ্গলবার সকালে অনুশীলনেও আসেননি লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। আর এ দিনই বেলা বাড়তে দিয়াজের চাকরি যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিছুদিন আগেই আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে বিদায় জানিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তাঁর ক্ষেত্রেও অবশ্য হাবাস পদত্যাগ করেছেন বলেই জানানো হয়েছিল। এ বার দিয়াজের ক্ষেত্রেও ঘটল একই ঘটনা। যদিও বহু দিন ধরে লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচকে সরানোর পরিকল্পনা চলছিল। তবে দিয়াজ নিজে পদত্যাগ করতে রাজি হচ্ছিলেন না। কোচকে ক্লাব তাড়ালে, পুরো মরশুমের বেতন দিতে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে দুই পক্ষই একটি বোঝাপড়ায় এসেছে। এবং মঙ্গলবার দলের যাবতীয় ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন দিয়াজ।
এসসি ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের আট ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তবে জয় এখনও অধরা। চার ম্যাচ ড্র করেছে, চার ম্যাচ তারা হেরেছে। চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার লাস্টবয় লাল-হলুদ। এই পরিস্থিতিতে দিয়াজের কোচিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না লাল-হলুদ কর্তারা। আদিল খানের মতো স্টপারকে বসিয়ে রেখে রাজু গায়কোয়াড়কে দিনের পর খেলিয়ে চলেছিলেন দিয়াজ। যে ভাবে প্রথম একাদশ সাজাচ্ছিলেন বা টিমকে খেলাচ্ছিলেন, সেটা একেবারেই না পসন্দ লাল-হলুদ কর্তাদের। সে কারণেই দিয়াজকে সরানোটা শুধুই ছিল সময়ের অপেক্ষা। যেটা করতে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এখন প্রশ্ন হল, লাল-হলুদের নতুন কোচ কে হবেন? যত দিন কোনও কোচ না আসছেন, ততদিন দলের দায়িত্ব সামলে নেবেন সহকারী কোচেরা। তবে নতুন কোচ আনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে লাল-হলুদ ব্রিগেডে। কারণ নতুন কোনও কোচ নিয়োগ করারও বহু সমস্যা রয়েছে। আইএসএলের করোনা বিধি অনুযায়ী ১০-১২ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে দলের নতুন সদস্যকে। তবে এটিকে মোহনবাগান যেমনএফসি গোয়ার জুয়ান ফেরান্দোকে কোচ করে আনায় কোনও সমস্যা হয়নি তাদের, তেমনটা হলে কোচের আইসোলেশনে থাকার ঝামেলা এড়িয়ে যেতে পারবে এসসি ইস্টবেঙ্গলও।