করোনা কালে মরশুমের প্রথম ডার্বি নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। প্রথমবার আইএসএলের (ISL 2020) মঞ্চে মুখোমুখি হবে এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান। অতিমারীতে এবার টুর্নামেন্ট গোয়ায়। তাও আবার দর্শকশূন্য মাঠে খেলা। তাই বড় ম্যাচের দিন যুবভারতীর সেই চেনা ছবিটা দেখা যাবে না ঠিকই। কিন্তু দুই যুযুধানের লড়াই নিয়ে উত্তেজনায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। একদিকে কেরালাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে যেমন তেতে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান, তেমন আবার ডার্বির আগেই জোড়া স্পনসরের নাম ঘোষণা করে জমি শক্ত করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
বুধবারই লাল-হলুদের তরফে দুই কো-স্পনসরের নাম ঘোষণা করা হয়। BKT টায়ার্স এবং ওয়াসাবি এই মরশুমের জন্য হাত মিলিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েট স্পনসর হিসেবে TV9 বাংলার নাম ঘোষণা করে ক্লাব।
ডার্বির আগে লাল-হলুদের অনুশীলনে আধুনিকতার ছোঁয়াও লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফুটবলারদের আরও নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করতে অত্যাধুনিক হাই-পড প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন লাল হলুদের (SC East Bengal) কোচ রবি ফাউলার। সাম্প্রতিককালে বিশ্বফুটবলের মহাকাশে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাই-পড। যে প্রযুক্তির সাহায্যে গোটা ট্রেনিংয়ের একটা এরিয়াল দৃশ্য দেখতে পাবেন কোচ। তাতে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন যে, দলের শেপ কীরকম বা ফুটবলাররা সবাই সঠিক পজিশনে মুভমেন্ট করছেন কি না। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী দলও এই হাই-পড প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল। মঙ্গলবারের অনুশীলনে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট জোসেফ ওয়ামসলিকে সেই বিখ্যাত হাই-পড প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা যায়। ফাউলারও দেখে নিলেন দলের শেপ ঠিকঠাক থাকছে কিনা।
ডার্বিতে আবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড লাইন কী হতে পারে দলের অনুশীলনে তারও একটা আগাম আন্দাজ পাওয়া গেল। দলকে ভাগ করে সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের সময় জেজেকে সিঙ্গল স্ট্রাইকার হিসাবে ব্যবহার করে উইঙ্গার অ্যান্থনি পিলকিংটনকে সেকেন্ড স্ট্রাইকারে রাখলেন ফাউলার। শোনা যাচ্ছে, এর পিছনে কারণ একটাই– পিলকিংটন দারুণ ফিনিশার হওয়া ছাড়া নিখুঁত পাস বাড়াতে পারেন। আর ফরোয়ার্ডে তাই পিলকিংটনের সেই পাস দেওয়ার দক্ষতাকেও অস্ত্র করতে চান লাল-হলুদ কোচ।