বিশ্বকাপ জিতে সোমবার দেশে ফিরেছেন লিয়োনেল মেসি। নিজের এবং দেশবাসীর সাড়ে তিন দশকের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। ট্রফি বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়েছেন রাতে। তার পর সমাজমাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা লিখেছেন মেসি। যার ছত্রে ছত্রে ধরা পড়েছে তাঁর আবেগ।
বিশ্বকাপ জয় নিয়ে মেসি লিখেছেন, ‘‘গ্র্যান্ডোলি থেকে কাতার। প্রায় ৩০ বছর। বিশ্বকাপ জিততে তিন দশকের কাছাকাছি সময় লাগল। ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। কিছু দুঃখও দিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। কখনও চেষ্টা বন্ধ করিনি। বিশ্বাস ছিল কখনও হাল ছাড়ব না।”
মেসি লিখেছেন, “আমরা বিশ্বকাপ পেয়েছি কারণ বাকি সকলের থেকে আমরা ভাল খেলেছি। আগের বিশ্বকাপগুলোয় আমরা এ ভাবে খেলতে পারিনি। যেমন ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও জিততে পারিনি আমরা। এ বার সবাই অনেক পরিশ্রম করেছিল। সবাই আন্তরিক ভাবে জিততে চেয়েছিল। এই বিশ্বকাপটা ছেলেদের প্রাপ্য। এ ভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে চেয়েছিলাম আমরা।”
মেসির লেখায় উঠে এসেছে প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনার কথাও। ৩৫ বছরের আর্জেন্টিনীয় অধিনায়ক লিখেছেন, “এই বিশ্বকাপটা দিয়েগোর জন্যও। তিনি আমাদের স্বর্গ থেকে উৎসাহিত করেছিলেন। এই বিশ্বকাপ তাঁদের সকলের জন্য যাঁরা ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে সবসময় জাতীয় দলকে উৎসাহিত করেছেন। তাদের জন্য যারা বেঞ্চে বসে থেকেছে খেলার সুযোগ না পেয়ে। ২০১৪ সালে যারা কাছে পৌঁছেও জিততে পারেনি, এই বিশ্বকাপ তাদেরও। সকলের একটাই আকাঙ্খা ছিল। সব কিছু আমাদের ইচ্ছা মতো হয় না। আমাদের দলটা সত্যিই সুন্দর। কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ — ওঁদের হয়তো সকলে চেনেন না। ওঁরাও এই স্বপ্নটা সফল করার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন।’’
https://www.instagram.com/leomessi/?utm_source=ig_embed&ig_rid=d7b60798-2b52-47f1-9e67-28b9aa361229
বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের লেখায় উঠে এসেছে ব্যর্থতার প্রসঙ্গও। মেসি লিখেছেন, অনেক সময় ব্যর্থতা যাত্রা পথের সঙ্গী হয়। সেগুলো আমাদের শেখায়। হয়তো সেগুলো হতাশা নিয়ে আসে। তবু ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আমার হৃদয় থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা।’’
মেসিরা বুয়েনস আইরেসে পা দিতেই এক দিনের জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফের্নান্দেস। সে দিন গোটা দেশে উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ভোরে রোম থেকে মেসিদের বিমান নামে বুয়েনস আইরেসের ইজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আগে থেকেই বিমানবন্দর ও তার বাইরে ভিড় জমেছিল। বিমান থেকে প্রথমেই বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেমে আসেন মেসি ও দলের কোচ স্কালোনি। তার পরে বাকি ফুটবলাররা নামেন।