প্যাটিনসনের ডেলিভারিতে প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ক্যাচটা দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ধরে ফেললেন পোলার্ড। আর তাতেই বাটলার যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪৪ বলে ৭০ রান। কিন্তু দিনের শেষে তা কোনও কাজেই এল না। কারণ মঙ্গলসন্ধেয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলল মুম্বই শো। কখনও দুর্দান্ত ব্যাটিং, কখনও অনবদ্য বোলিং তো কখনও চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ের সাক্ষী রইল আবু ধাবি।
এদিনই আইপিএলের ১৯৪ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রোহিত (Rohit Sharma)। আর তাতেই টপকে যান চেন্নাইয়ের সুরেশ রায়নাকে। ১৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ভারতীয় প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে পিছনে ফেলে এই তালিকায় ২ নম্বর জায়গাটি দখল করেন রোহিত। ১৯৫ ম্যাচ খেলে শীর্ষে মহেন্দ্র সিং ধোনি। রোহিতের ব্যাট থেকে এদিন আসে ৩৫ রান। ডি ককের সঙ্গে জুটি বেঁধে শুরুটা মন্দ করেননি। তবে মুম্বই ইনিংসের লাইমলাইট কেড়ে নিলেন সূর্যকুমার। ৪৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে একাই রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন। তবে হার্দিকের আগে ক্রুণালকে কেন রোহিত ব্যাট করতে পাঠালেন বোঝা গেল না। রাজস্থানের হয়ে দুটি উইকেট নিলেন শ্রেয়স গোপাল।
গত চারবারের সাক্ষাতে প্রতিবারই জয়ী রাজস্থান। চলতি টুর্নামেন্টে ভাল ফর্মে থাকলেও এই পরিসংখ্যানই ভাবাচ্ছিল রোহিত অ্যান্ড কোংকে। তবে ৫৭ রানে স্টিভদের হারিয়ে মধুর প্রতিশোধই নিল মুম্বই। সেই সঙ্গে ধরে রাখল লিগ তালিকার শীর্ষস্থানও।
আর পাঁচটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতো এদিন টানটান উত্তেজনা ছিল না। আসলে প্রথম দুটি ম্যাচ শারজার মতো ছোট মাঠে খেলে পরের ম্যাচগুলি দুবাই ও আবু ধাবিতে খেলতে সামান্য সমস্যাই হচ্ছিল স্মিথদের। বড় মাঠে মানিয়ে নিতে সময়ও লাগছিল। তাছাড়া টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেই আত্মবিশ্বাস ভেঙে যাচ্ছিল মিডল অর্ডারের। সেই অবস্থায় বিপক্ষ যখন প্রায় ২০০-র কাছাকাছি রান করে ফেলে, তখন অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া যেন আর কোনও উপায় থাকে না। তা সত্ত্বেও বাটলার লড়াই করেছিলেন। কিন্তু কাজে এল না তাঁর একার প্রয়াস। চারটি উইকেট একাই তুলে নেন বুমরাহ। বোল্ট ও প্যাটিনসন পান দুটি করে উইকেট। ৬ ম্যাচের চারটিই জিতে আট নম্বর নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই এগোচ্ছে গতবারের ট্রফিজয়ীরা।