শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ভারতের সামনে। সেই সিরিজ়েই নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। আর চারটি উইকেট পেলেই টি-টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়বেন তিনি। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে আয়ারল্যান্ডের জোশুয়া লিটলের। ২৬ ম্যাচে ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইকনমি রেট ৭.৫৮। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক রয়েছে তাঁর। আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় বোলার হিসাবে এই কৃতিত্ব গড়েন তিনি। সুপার ১২-এর ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
ভুবনেশ্বরের এই মুহূর্তে ৩০ ম্যাচে ৩৬টি উইকেট রয়েছে। ওভার-পিছু সাত রান করে দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছ’ম্যাচে চার উইকেট নেন। প্রচুর উইকেট না নিলেও, ওভার-পিছু কম রান দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের সেরা বোলার তিনি। দু’টি ম্যাচে প্রথম ওভারে মেডেন দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রথম ভারতীয় বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি উইকেট নেওয়ার নজিরের থেকে ১১টি উইকেট দূরে তিনি। ইতিমধ্যেই ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ভারতের কাছে নিউজ়িল্যান্ডের এই সিরিজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য বলেছেন, “বিশ্বকাপের ফলে সবাই যে হতাশ সেটা জানি। কিন্তু আমরা পেশাদার। তাই কাটিয়ে উঠতেই হবে। যে ভাবে সাফল্যকে মাথায় চড়তে দিই না, সে ভাবেই ব্যর্থতাকেও মনে রাখি না। ভুল শুধরে ভাল ভাবে ফিরে আসতে চাই।”
পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কে হার্দিক বলেছেন, “দু’বছর সময় রয়েছে আমাদের হাতে। তাই নতুন প্রতিভা তুলে আনার সময় রয়েছে। অনেক ক্রিকেট খেলা হবে। অনেকেই ভাল মতো সুযোগ পাবে। এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে। তবে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে না। অনেক সময় রয়েছে। কোথায় কী করতে হবে সেটা বসে ঠিক করা যাবে। এখন আমাদের দেখতে হবে সবাই যাতে নিজের খেলাটা উপভোগ করতে পারে। ভবিষ্যতের ব্যাপারে পরে ভাবা যাবে।”
শুভমন গিল, উমরান মালিক, ঈশান কিশান, সঞ্জু স্যামসনের মতো অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ়ে। সে ব্যাপারে হার্দিকের মন্তব্য, “প্রথম সারির ক্রিকেটাররা না থাকায় বাকিদের কাছে সুযোগ এসে গিয়েছে। তবে গত দেড় বছর ধরেই ওরা খেলছে। ওরা যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় কাটিয়েছে। ওদের নিয়ে উত্তেজিত। নিঃসন্দেহে দলে নতুন শক্তি এবং উত্তেজনা চলে এসেছে। প্রত্যেকটি সিরিজ়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটা হতে পারে না। এখানে কেউ ভাল খেললে আগামী ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের জন্যেও তাকে ভাবা হতে পারে।”