জীবনের প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই নজর কাড়লেন উমরান মালিক। গত আইপিএলে বলের গতিতে চমকে দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের তরুণ জোরে বোলার। শুক্রবার অকল্যান্ডেও বলের গতি দিয়েই বাজিমাত করলেন।
ভারতের হয়ে আগে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও শুক্রবারই প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেললেন উমরান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে গড়লেন নজির। তাঁর এই বলটির গতি ছিল ১৫৩.১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ২৩ বছরের জোরে বোলার প্রথম থেকেই গতির ঝড় তুললেন। তাঁর প্রথম ওভারের ছ’টি বলের গতি ছিল যথাক্রমে ১৪৫.৯, ১৪৩.৩, ১৪৫.৬, ১৪৭.৩, ১৩৭.১ এবং ১৪৯.৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দ্বিতীয় ওভারের ছ’টি বল করেন ১৫০, ১৪৯.৮, ১৪৩, ১৪১.৬, ১৪২.৫ এবং ১৪৬.২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই উমরান সাজঘরে ফেরান ডেভন কনওয়েকে। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জীবনের প্রথম উইকেট পাওয়ার পর আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন উমরান। তার পরই তাঁর হাত থেকে বেরোল ম্যাচের দ্রুততম বলটি। যার গতি ১৫৩.১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ধারাবাহিক ভাবে বল করলেন উমরান।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন উমরান। ড্যারিল মিচেলকেও আউট করেন উমরান। তিনিই ভারতের সফলতম বোলার। উমরানের সঙ্গেই এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হল ভারতের আর এক জোরে বোলার আরশদীপ সিংহের। বাঁহাতি জোরে বোলার ৮.১ ওভার বল করে ৬৮ রান দিয়েছেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে উমরান সুযোগ না পাওয়ায় প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল উইকেটে দেশের সব থেকে গতিসম্পন্ন বোলারকে খেলালে রোহিত শর্মার দল সুবিধা পেয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। সেই দাবি যে এক ম অমূলক ছিল না, তা অকল্যান্ডে প্রমাণ করে দিলেন উমরান। ভারত প্রথম ব্যাট করে ৩০৬ রান তুলেও ৭ উইকেটে হেরেছে প্রথম এক দিনের ম্যাচ। ১৭ বল বাকি থাকতেই কেন উইলিয়ামসনরা ৩ উইকেটে ৩০৯ রান করেছেন। তবু বল হাতে নজর কেড়ে নিলেন উমরান।