তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমিক। জনপ্রিয়তার নিরিখে তাঁর থেকে বড় মুখ অল্পই রয়েছেন পৃথিবীতে। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগাতে, বড় বড় সংস্থা নিজেদের প্রচারের মুখ করতে চায় তাঁকে। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশ সৌদি আরবও। চলতি বছরের শুরুর দিকেই সৌদি আরব প্রশাসন তাঁদের পর্যটনক্ষেত্রের মুখপাত্র হিসাবে বেছে নেন মেসিকে। ঘটনাচক্রে যে দেশের দূত তিনি, সেই দেশের বিরুদ্ধেই ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছেন লিয়োনেল মেসি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচই কিছুটা হলেও ধর্মযুদ্ধ তাঁর কাছে।
চলতি বছরের মে মাসে, সৌদির পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতিব জেড্ডাতে স্বাগত জানান মেসিকে। টুইট করে মেসিকে জানান, লোহিত সাগর ও সৌদি আরবের প্রাচীন ইতিহাস ঘুরে দেখার কথা বলেন। সেটি ছিল মেসির চতুর্থ সৌদি ভ্রমণ। তার পরই শোনা যায়, পর্যটন দূতের ভূমিকা পালন করবেন মেসি। ঠিক কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এই চুক্তি হল, তা প্রকাশ্যে না আনা হলেও, সেই অর্থ যে নেহাত কম নয় এ কথা বলেন অনেকেই। তাই যে দেশ থেকে অর্থ উপার্জন করছেন, সেই দেশের বিরুদ্ধেই খেলতে হবে ফুটবলের রাজপুত্রকে। তবে এ ধরনের দ্বন্দ্ব পেশাদার খেলোয়াড়ের জীবনে আসবেই, মত অধিকাংশ বিশেষজ্ঞেরই। যখন স্পেনে ক্লাবের ফুটবল খেলতেন, তখনও দেশের হয়ে খেলতে হয়েছে স্পেনের বিরুদ্ধে। আবার এখন যদি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলতে হয়, তবুও মাঠে নামা ছাড়া উপায় নেই। পেশাদার খেলোয়াড়ের জীবন এমনই।
শুধু সৌদির দূতই নয়, পর্যটনক্ষেত্রে মেসির যোগ রয়েছে আগে থেকেই। ২০১৭ সাল থেকে ম্যাজেস্টিক হোটেল গ্রুপ বলে একটি হোটেল চেনের মালিকানা হাতে নেন মেসি। হোটেলগুলি চালান তাঁর ভাই রদ্রিগো। স্পেনের অরান উপত্যকায় একটি শীতকালীন রিসর্টও রয়েছে তাঁর।