হুগলী জেলার ধনিয়াখালি বিধানসভার(গুড়াপ থানা) খেজুরদহ মিল্কি পঞ্চায়েতের সাতুরিয়া গ্ৰামের ঘটনা। হিন্দু সংহতির উদ্যোগে হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিলো। হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেরা এসে হিন্দু সংহতির পতাকা খুলে তাদের দলীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করে। হিন্দু সংহতির ছেলেরা রুখে দাঁড়ায়। হাতাহাতি হয়।হাতাহাতিতে পিছু হটে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগায়। পুলিশ এসে হরিনাম সংকীর্তন এর মাইক ও পূজার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে। অজুহাত দেখায় যে ঐ অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশি অনুমতি নেওয়া হয় নি। বিষয়টি জানার পর হিন্দু সংহতির হাওড়া ডিভিশনের সভাপতি(হুগলি জেলায় বাড়ী) ডাঃ পার্থপ্রতিম ঘোষ গুড়াপ থানার ও সি কে ফোন করেন।বারেবারেই ও সি একটি কথা বলেন, ঐ হরিনাম সংকীর্তনের জন্যে পুলিশের অনুমতি নেওয়া ছিলো না। বিরক্ত হয়ে পার্থ দা থানার ও সি কে জিজ্ঞেস করেন, আপনার থানা এলাকার কটা ইসলামিক জলসা থানার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে হয়? আজ অবধি অনুমতি ছাড়া হওয়া একটাও ইসলামিক জলসার মাইক আপনারা খুলেছেন কি? কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ও সি ফোন কেটে দেয়। পার্থ বাবু পুনরায় ফোন করেন। ও সি ফোন ধরে নি। কারণ, তার কাছে উত্তর নেই। ইসলামিক জলসার উদ্যোক্তারা অনুমতির তোয়াক্কা করে না। কিন্তু তার মাইক খোলার মতো বুকের পাটা পুলিশের নেই। এই পশ্চিমবঙ্গ কোন পথে এগোচ্ছে? অনুমতি ছাড়া ইসলামিক জলসা হতে পারবে। কিন্তু হরিনাম হতে পারবে না। হরিনামের জন্যে বহু বাঁধা, নিয়ম-কানুন। কিন্তু ইসলামিক জলসার জন্যে সব অবাধ।বাঙ্গালী হিন্দু এই পশ্চিমবঙ্গে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে তো? আর একটা কথা বলি। আমরা হিন্দু সংহতি। ওখানে হরিনাম সংকীর্তন হবেই। সাতুরিয়া গ্ৰামের হিন্দু দের পাশে আমরা আছি। ময়দানেও লড়বো। সেইসঙ্গে গোটা ভারতের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবো যে, পশ্চিমবঙ্গে হরিনাম সংকীর্তনের জন্যে অনুমতি লাগে। ইসলামিক জলসার জন্যে লাগে না। হিন্দু সংহতির নেতৃত্বে ঐ গ্ৰামের মানুষরাও সঙ্কল্পবদ্ধ যে হরিনাম হবেই। হবেই।

https://www.facebook.com/hindusamhatibangla/videos/554875021776859/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.