ঘরের কাজ ও ফোনের কথা দুটোই বেড়ে গিয়েছে : লকেট চট্টোপাধ্যায়

“বছরের অন্যান্য সময়টা বাড়িতে থাকার অবকাশ হয় খুব কমই।  লকডাউন (Lockdown) সবার মত আমার কাজের রুটিনটাও বদলে দিয়েছে। নরেন্দ্রপুরে বাড়িতে এখন সময়টা বেশি কাটছে।“  ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে একথা জানালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ এবং দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chattopadhyay)। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি স্ট্যান্ডিং কমিটির ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসাবে অতিরিক্ত কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। এমনি সময় কিভাবে কাটে? লকেট এই প্রতিবেদককে জানালেন, দিল্লিতে বিধানসভা অধিবেশনের জন্য মাঝে মধ্যে থাকতে হয়সে ক্ষেত্রে সকালে উঠে সংসদে গিয়ে প্রায় সন্ধ্যা অবধি থাকা ও অন্যান্য কাজ— সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় কাটে। কলকাতাতেও প্রতিদিনই অনেক কাজ  থাকে। আমার সংসদীয় কেন্দ্র হুগলিতে (Hooghly) যেতে হয়। রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে প্রায় একটা-দেড়টা হয়ে যায়।  দক্ষিণেশ্বরের ছেলেবেলা কাটানো লকেট ভারতনাট্যম, কথাকলি, মনিপুরী বিভিন্ন ধরনের নাচে পারদর্শীক্লাস এইট থেকে নাচ শিখেছেন মমতাশঙ্করের নৃত্যগোষ্ঠীতে। স্কুল ছিল দক্ষিণেশ্বর সারদা দেবী বালিকা বিদ্যালয়। এর পর যোগমায়া দেবী কলেজ২০০২- তে সিনেমায় নামা। ‘একটু ছোঁয়া’ দিয়ে শুরু। প্রায় এক যুগ টানা বিভিন্ন রকম ছবিতে অভিনয় করেছেন। রাজনীতির শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। কিন্তু ২০১৫-তে সেই গাঁটছড়া ভেঙে যোগ দেন বিজেপিতে।  ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হন। কিন্তু হেরে যান তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। ২০১৭-তে বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব নেন। গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেবল এ রাজ্যের নয়, গোটা দেশের অন্যতম মর্যাদার লড়াইয়ের কেন্দ্র ছিল। কেবল লাগাতার প্রচার নয়, কোমরে আঁচল বেঁধে ভোট চলাকালীন রীতিমত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ভোটকেন্দ্রগুলোতে। রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে টক্কর দিয়েছেন সমানে সমানে। ছোটপর্দায় প্রচারিত হতে হতে সেই সব দৃশ্য  ছড়িয়ে পড়েছে দেশময়। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে জিতেছেন। এখন দিনলিপি কতটা বদলিয়েছে? সকালে উঠি আটটা নাগাদ।  কাজের লোক আসছে না। বাড়ির কাজ অনেকটাই বেড়েছে। বাড়ির সদস্য সংখ্যা বলতে দু’জন আমি নিজে আর স্বামী প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য (Prasenjit Bhattacharya)। ছেলের নাম প্রেম, দিল্লিতে এমবিএ পড়ছে। মাস্ক তৈরির কাজ দেখাশোনা, ত্রাণ বন্টন প্রভৃতির জন্য মাঝেমধ্যে বার হতে হচ্ছে। এই তো শনিবারও বার হতে হয়েছে। কিন্তু এ সবের চেয়েও এই মুহূর্তে বড় চিন্তা বিশ্বময় অন্য লড়াই নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.