পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলিতে খুবই জনপ্রিয় ‘নিত্যানন্দ জনবাণী’ এফ এম রেডিও স্টেশনটি | আদিবাসী মানুষের ঘরে ভিতর ঢুকে যাওয়া এই রেডিও বার্তাকে কুর্ণিশ জানায় ইউনিসেফও | তাদের সাফল্যে তাই সমানভাবে উপস্থিত আন্তর্জাতিক এই সংগঠনের রাজ্যের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা|
১৫লক্ষ আদিবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় তথ্য প্রতি নিয়ত তাদের ভাষায় পৌঁছ দেওয়ার এই প্রয়াস শুরু হয়েছিল ২০১০সালে | স্থানীয় সমাজসেবামূলক সংস্থা ‘মানভূম আনন্দ আশ্রম নিত্যানন্দ ট্রাস্ট’এর হাত ধরেই যাত্রা শুরু এই নিত্যানন্দ জনবাণীর|
৯১.২মেগাহার্টজের তরঙ্গে এই বার্তা পৌঁছে যায় কখনো কুরমালি, কখনো সাঁওতালি ,কখনও বা বাংলায় | নিজেদের সমস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে তৈরি হওয়া এই কমিউনিটি রেডিও উদ্যোগ খুব অল্প দিনের মধ্যেই তাদের জনপ্রিয়তা লাভ করে|
শিশুদের শৈশব তৈরিতে অসামান্য অবদানের কথা স্বীকরা করেছেন ইউনিসেফের কর্তারাও | পশ্চিমবঙ্গে ইউনিসেফের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কথায়, স্থানীয় ওই এনজিওর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ইউনিসেফ পাশে এসে দাঁড়ালেও,এখন আর তাদের আর্থিক কোন সহায়তার প্রয়োজন নেই|
বাংলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ,ওড়িশার মত জায়গাগুলি থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবকেরা এই রেডিওকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে | প্রায় ৫০০ঘন্টার অনুষ্ঠানের যে পাহাড় প্রমাণ অনুষ্ঠান তারা মজুত রেখেছে ভাঁড়ার ঘরে ,তা রীতিমত ভাবায় এই আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আধিকারিকদের|