সরস্বতী পূজার দিন মুসলিম প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে নিখোঁজ হিন্দু কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে অগ্নিগর্ভ উলুবেড়িয়ার তুলসিবেড়িয়া। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে। আগুন লাগানো হয় কয়েকটি গাড়িতেও। শেষমেশ পথ অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে।
জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার রাজাপুর থানা এলাকার তুলসীবেড়িয়া অঞ্চলের সুমদা ধাড়াপাড়ার বাসিন্দা শম্ভুচরণ সামন্তের বড় মেয়ে সাথী সামন্ত স্থানীয় ভূঁয়েরা বিএনএস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাথীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুমদা এলাকার শেখ আমির আলির। গত বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর দিন সকাল ১০টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় সাথী। বিকাল হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে খোঁজ শুরু করে সাথীর পরিবারের লোকজন।
স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সমস্ত ঘটনা জানালে, তাঁরা স্কুলের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন, সেদিন সাথী স্কুলে আসেনি। স্কুল থেকে বেরোনোর সময় সাথীর এক সহপাঠী সাথীর বাবাকে জানায় যে, আমিরের সঙ্গে সাথীকে বাইকে চেপে যেতে দেখেছে সে। সেদিন সারা রাত মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে পরের দিন রাজাপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগের পাশাপাশি এই ঘটনায় আমিরের জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করেন সাথীর বাবা শম্ভুচরণ সামন্ত। পুলিস আমির আলীকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, রবিবার বিকালে ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু, কঠোরতম শাস্তি ও ঘটনায় যুক্ত বাকিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে কুলগাছিয়া তুলসীবেড়িয়া রাস্তার সুমদা বাজার এলাকায় রাস্তার উপর টায়ার ও খড়ের আঁটি জ্বালিয়ে অবরোধ করে এলাকার লোকজন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই বেধড়ক লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ।