ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার(১৯৯৫), লন্ডন ইউনিভার্সিটির চার্লস ওয়ালেস ফেলো (১৯৯৭), ব্রাউন ইউনিভার্সিটির আলেকজান্ডার ভিয়েটার ফেলো (২০০৪) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক। রঞ্জন চক্রবর্তীর সাফল্যের বর্নময় মুকুটে এ রকম অনেক পালক। এখন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। লকডাউন এই বিশিষ্ট ঐতিহাসিক তথা শিক্ষাবিদের প্রাত্যহিক জীবনধারাতেও এনেছে বড় পরিবর্তন।কীভাবে, কতটা পরিবর্তন এনেছে? ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে রঞ্জনবাবু জানালেন, “এমনিতে প্রতিদিন আমার মোটামুটি লেখাপড়া, গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাজে কেটে যেত। যেতে হতো নানা স্থানে। লকডাউনে রুটিনটা বদলে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ বলে কলকাতায় চলে আসিনি। মেদিনীপুরে উপাচার্যের আবাসনেই আছি। বরং স্ত্রী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সোমা এবং ব্যবসায়ীপুত্র প্রতীক চলে এসেছেন এখানে। এই সঙ্গে ছ’বছরের ল্যাব্রাডার টিটু। বিদ্যাচর্চার মাঝে ওদের নিয়ে কাটছে অনেকটা সময়।” ২০১১-র ১ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের রাঙামাটির এই প্রতিষ্ঠানে এসে প্রথমেই মনে পড়ছিল পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা। তাঁর জন্মভূমিতে, তাঁর নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিরে এসেছি। উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে ১৩২ একর জমির ওপর এই প্রতিষ্ঠান। এর পর পায়ে পায়ে ছুঁয়ে ফেলল প্রায় এক দশক।উপাচার্যর কথায়, কলকাতার লকডাউনের ছবির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই এখানকার পরিবেশের অনেক পার্থক্য। কিন্তু প্রযুক্তি তো এখন বিশ্বকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে এসেছে। নিরালায় বসে টিভি-র নিউজ আর মোবাইলে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে মুহূর্মুহূ জানতে পারছি করোনার সঙ্গে আমাদের লড়াইটা কোথায়, কীভাবে চলছে। এখন দিনের বেশিরভাগ টিভি দেখে, বই পড়ে কাটছে। অনেক বই ডাউনলোড করা আছে। একে একে পড়ব। পুরনো ভ্রমণকাহিনী পড়তে ভালো লাগে। আলফ্রেড ক্রসবির ‘কলম্বিয়ান এক্সচেঞ্জ’ বইটা এখন পড়ছি।” রঞ্জনবাবুর ভাষায়, “লকডাউনের এই অবস্থায় মনে হচ্ছে পৃথিবীটা অনেক বদলে যাবে। মাঝে মাঝে সন্দেহ হচ্ছে বাঁচব কিনা। আবার কখনও উজ্জীবিত করে তুলছে আশাবাদ। মনে হচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.