ভয়ঙ্কর ঘটনা! বারুইপুরে তান্ত্রিকের ঘর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ

আমাদের ভারত, বারুইপুর, ১৩ জুলাই: এক তান্ত্রিকের ঘর থেকে উদ্ধার হল বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেতবেড়িয়া রামকৃষ্ণপল্লী এয়াকায়। পুলিশ ও স্থানীয় মানুষদের প্রাথমিক অনুমান তন্তসাধনার জন্য খুন করা হয়েছে ঐ ব্যক্তিকে। আর একটি মত, নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই তান্ত্রিকের, সেই কারণেও খুন করা হতে পারে। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম কুদ্দুস সরদার, জীবনতলা থানার বাঁশড়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে সত্য রঞ্জন হাওলাদার নামে ঐ ব্যক্তি তন্ত্র সাধনা করে। বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষজন ঐ ব্যক্তির কাছে আসে। তার কাজকর্ম এবং আচরণে এলাকার মানুষ খুব একটা ভালো চোখে দেখত না ঐ তান্ত্রিককে। কারও সাথে কিছু হলেই বিভিন্ন ভাবে তাকে তুকতাক করার ভয় দেখাত। এলাকার মানুষের দাবি, খুন করা হয়েছে কুদ্দুসকে। কুদ্দুসের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের পর রঞ্জনের নিজের ঘরেই কুদ্দুসের দেহ কাঁথা ও বালিস দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সত্যরঞ্জন। স্থানীয় মানুষজন আরও দাবি, পরিকল্পিত ভাবেই খুন করা হয়েছে ঐ ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় কুদ্দুসের স্ত্রীও জড়িত রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

বারুইপুর থানার পুলিশও প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে এটি খুনের ঘটনা। তান্ত্রিকতার নামে কুদ্দুসের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল সত্যরঞ্জন। আর সেই সম্পর্কের কারণেই কুদ্দুসকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের দাবি, তন্ত্র সাধনার জন্য কুদ্দুসকে বলি দেওয়ার চেষ্টাতেই খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সত্যরঞ্জন ও কুদ্দুসের স্ত্রী দুজনেই পলাতক।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তান্ত্রিক সত্যরঞ্জনের ছেলে বাড়িতে ফিরে ঘরে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি তাদের বিছানায় পড়ে রয়েছেন। সেই আশপাশের মানুষজনকে ডেকে নিয়ে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বারুইপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে খুন করা হয়েছে কুদ্দুস সরদারকে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.