সত্যি জাস্ট ভাবতে পারিনি। এক সাথে এত বাড়ি থেকে, এত সংখ্যক লোক কাসর, ঘন্টা, শঙ্খ বাজাবেন জাস্ট ভাবতেই পারিনি। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।কাসর ঘন্টা, শাখ আর উলু ধ্বনিতেই ঘুম ভাঙল।দেখলাম আর শুনলাম, চাক্ষুষ করলাম,ফ্ল্যাটের চার তলার ব্যালকনি থেকে কাসর, ঘন্টা আর শঙখের শব্দে উত্তাল দশ মিনিট।
এ যেন সেই ক্লেরিয়ন কল।যেন হ্যামলিনের বাশীওয়ালার সেই অমোঘ আহবান।যে আহবানে সাড়া না দিয়ে পারা যায়না।যার আহবানে মানুষ সাড়া দিতেই যেন উন্মুখ হয়ে থাকে।।
কাসর, ঘন্টা আর শঙ্খ বাজানোর বিরুদ্ধে যারা কাল থেকে টিপ্পনী কাটছিলেন, বিশ্বাস করুন আপনারা হেরে গেছেন।।বিশ্বাস করুন আপনারা মোদীকে হারাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মানুষ জিতিয়ে দিয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কে। হ্যা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উদাত্তকন্ঠের আহবান মানুষ নির্নিমেষ মেনে নিয়েছে, হাতের কাছে যে যা পেয়েছে তাই নিয়েই উঠে গেছে ছাদে অথবা ব্যালকনিতে। বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রাচীন ঐতিহ্য আপনাদের টিপ্পনি আর অতি উদ্ধত খোচার কাছেও মাথা নোয়ায়নি।
আর যারা রটাতে চেয়েছিলেন ” মোদী ঘন্টা বাজিয়েই করোনার মুকাবলা করবেন” এই সব বলে, তাদের গালে কষিয়ে এক থাপ্পড় মেরেছে বাংলার সাধারন মানুষ।
যারা এই মহামারী র মহাসংক্রমনের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়ছেন (যখন আমরা ঘরে বসে আছি পরিবার নিয়ে) সকল রকমের ভয় ভীতি উপেক্ষা করে নিজেদের জীবন বাজি রেখে যারা আমাদের বাচাবেন বলে শপথ নিয়ে রাস্তায় আছেন, আমাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন,সেই সব ডাক্তার-নার্স পুলিশপ্রশাসন ওষুধেরদোকানদার,
মুদিখানারদোকানদার,
এম্বুলেন্স ড্রাইভার সুইপার
সবার জন্য
সেলাম,কুর্নিশ, হ্যাটস অফ, নত মস্তকে প্রনাম।
ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন।সমাজ আপনাদের এই অবদানের কথা মনে রাখবে একক দশক শতক ধরে।ভাল থাকবেন আপনারা। নিজেদের দিকেও খেয়াল রাখবেন।।
সজল মন্ডল