হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কার্যকারিণী বৈঠকে মাতৃশক্তি বিকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়া হল। উদাহরণস্বরূপ বলা হল পাখি যেমন এক ডানার উপরে ভর করে উড়তে পারেনা, তেমনই হিন্দু সমাজকে বিকাশশীল থাকতে হলে পুরুষদের সঙ্গে মাতৃ শক্তির বিকাশের উপর জোর দিতে হবে। সমাজের বিভিন্ন কাজে যেন নারীরা অংশ গ্রহণ করতে পারেন, তার ব্যাবস্থা করার জন্য আহ্বান রাখা হয় ।
এই কাজে সফলতা অর্জন করার লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দেশের পূজনীয়া নারী যেমন, গার্গী, মৈত্রেয়ী, ঘোষা, ওপালা, উভয় ভারতী, সারদা মাতা প্রভৃতি জীবন নিয়ে সর্ব সমক্ষে বেশি করে আলোচনা করতে হবে। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, রানী দুর্গাবতী, রানী অহল্যা, রানী রাসমণি, প্রভৃতি বীরাঙ্গণাদের জীবন দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে । নারীরা ভোগের বস্তু, এমন ধারণা সমাজ থেকে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। সমাজকে শেখাতে হবে যে নারীরাই দুর্গা শক্তিরই অংশ ।
ভারতের নানা প্রান্তে বহু নারী স্থানীয় ভাবে সমাজের বহু অবদান রেখে গেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষদের সমকক্ষ কাজ করছেন। সাধারণ গৃহিনীদের সামনে সে সব কাহিনী তুলে ধরতে হবে। আর এই কাজ করে যেতে হবে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের “বীরাঙ্গণা বাহিনী”। এই ব্রতেই যেন বীরাঙ্গণা বাহিনীর প্রত্যেক বীরাঙ্গণা আরও বেশি করে আত্মনিবেশ করে সেই সংকল্পই নেওয়া হয় কার্যকারিণী বৈঠকে ।