আপনার দরজায় আধঘন্টায় পিৎজা, কতটা মানবিক? প্রশ্ন পুলিশ কমিশনারের

তিরিশ মিনিটের মধ্যে পিৎজা ডেলিভারি নয়ত বিণামূল্যে পিৎজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উস্কে দিলেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার।
টুইট করে তিনি বলেন যে, এর জন্য যাঁরা ডেলিভারি করছেন তাঁকে অনেকটা ঝুঁকি নিতে হয়। তিনি জানতে চান সত্যিই কি বিনামূল্যে পিৎজা খাওয়ার জন্য সবাই এতটাই উৎসুক যে এর জন্য একজনকে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছতে হবে।ভাস্কর রাও বলেন যে প্রচণ্ড তাড়াহুড়োর জন্য এঁরা নিয়মিত ট্রাফিক আইন ভাঙেন।

পিৎজা ডেলিভারির এই পদ্ধতি নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। প্রথম যখন তিরিশ মিনিটে ডেলিভারি নয়ত বিনামূল্যে পিৎজা এই আইডিয়া নিয়ে পিৎজা কোম্পানিগুলি ব্যবসা শুরু করে তখন তা রীতিমত জনপ্রিয় হয়। আস্তে আস্তে এর অমানবিক দিক গুলি চোখে পড়তে শুরু করে মানুষের। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মানুষ।এদিনও পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যকে সমর্থন করে বহু মানুষ টুইট করেছেন। ডক্টর সুমঙ্গল বোস বলে একজন এই চিন্তার জন্য কমিশনারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন পথ সুরক্ষা নেহাৎই রুলবুকে সীমাবদ্ধ নয়। এটা জীবনের ব্যাপার। অনেকে অবশ্য এই সুযোগে পুলিশের ব্যর্থতা গুলি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। একজন বলেন পুলিশ কমিশনার যদি ইমার্জেন্সি কল এ সাড়া দিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের আসা নিশ্চিত করতে পারতেন তাহলে ভাল হত।ভি এম রঘুনাথন নামে একজন লেখেন, শুধুমাত্র পিৎজা ডেলিভারির সময় বাড়ালেই ডেলিভারি যাঁরা দিচ্ছেন তাঁদের জীবন সুরক্ষিত হবে না। ট্রাফিক পুলিশের কাজ শুধু গাড়ির গতি মাপা আর ডকুমেন্ট চেক করা নয়। আরও অনেক জিনিস আছে যেগুলি দুর্ঘটনার কারণ কিন্তু পুলিশ সেদিকে কোনও নজরই দেয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.