স্ক্রিপ্ট লিখছি। গল্প সমগ্র বই পড়ছি। ঘর গোছাচ্ছি। বহু পুরনো ছবি খুজে পেয়েছি। বাগান করছি। খাচ্ছি। স্বপ্ন দেখছি। গান শুনছি। সিনেমাও দেখছি।
লকডাউনের দিনলিপি জানতে চাইলে ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে এ রকম একটা মস্ত ফর্দ ধরিয়ে দিলেন সাংবাদিক-অভিনেত্রী তথা এই মুহূর্তে টলিউডের অত্যন্ত পরিচিত মুখ সুদেষ্ণা রায়। পার্ক স্ট্রিটের গা-ঘেঁষা উড স্ট্রিট এখনও এ শহরের নিরিবিলি জায়গাগুলোর অন্যতম। সেখানে বিশাল ফ্লাটের বাসিন্দা সুদেষ্ণা।তিনি বলেন,বারান্দায় ছাতার বাগানের প্ল্যানিং করছি মা ছেলে। আমাদের আইটি রিটার্নের হিসাবেও বসেছিলাম। ওর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে আপাতত ওই হিসাবের কাজে ভাঁটা পড়ল। কতদিন পারব জানিনা। তবে এখনও খারাপ লাগছে না।
সুদেষ্ণার কথায়, যা আনন্দ দিচ্ছে করছি। বই বলতে সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পসমগ্র, আমার চেনা বন্ধু ও সহকর্মী সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের ছোট গল্প, নীহাররঞ্জন রায়ের ‘বাঙালির ইতিহাস’— এ সব পড়ছি। যে সব ছবি দেখছি সেগুলো হল ‘ইচ্ছে‘, দৃশ্যম‘, ‘ছপ্পক’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ আমাদের প্রথম ছবি ‘শুধু তুমি’-র ওয়ার্কিং স্টিল।
পুরনো ছবি দেখতে দেখতে ফিরে যাচ্ছি অতীতে। আমি কত রোগা ছিলাম। মাথায় অনেক চুল। সুশান্ত রাজিব, সানি— এখনকার তিন বাঘা প্রযোজক কত বাচ্চা ছিল। ‘তিন ইয়ারি কথা আর ‘লাবণ্য সংসার‘-এর কত ছবি। দ্বিজেনদা আর গৌতমদা কী হাসছেন! সুরজিৎ ব্যানার্জি কত বাচ্চা ছিল!, তনিমা আর আমি, জয়জিতের একমাথা চুল, ভাস্কর আর চান্দ্রেয়ী। ‘তিন ইয়ারি’-তে রিমঝিম রুদ্র আর অটো। ঋতুপর্ণা সঙ্গেও কত কত ছবি। সুচিত্রা মিত্রর সঙ্গে সবাই মিলে বৃদ্ধাবাসে— শেষ নেই স্মৃতির। আনন্দে কাটছে তাই সময়টা। ভয় কে জয় করতে এগুলোই তো হাতিয়ার।