ঋতু পরিবর্তন স্পষ্ট শহরের আবহাওয়ার হালচালে। তাপমাত্রা কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। এর মধ্যে দিয়েই স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে ঋতু পরিবর্তন। নিয়ম মেনে দোল পর্যন্ত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার দিকে গা শিরশিরে ভাব থেকেই যাবে। এমনই মত আবহাওয়াবিদদের।
রাতের দিকে শহরের মানুষকে এখনও গায়ে বালাপোশ, হালকা চাদর গায়ে দিতেই হচ্ছে। একটু ফাঁকা জায়গা হলে রাতের বেলায় রীতিমত লেপ মুড়ি দিয়েই ঘুমোতে হচ্ছে মানুষকে। আর পাখা? না বেলার দিকেও এর প্রয়োজন পড়ছে না। কারণ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যেমন স্বাভাবিকের নীচে থাকছে তেমনই নীচে রয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। আজ শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ আজ সকালে ৯৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার প্রায় দিনভর বৃষ্টির জেরে বুধবার সকালের পারদ বেশ কিছুটা নীচে ছিল কলকাতার। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মঙ্গলবার দুপুরে ২৭ থেকে এক ঝটকায় নামে ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি কম। কিন্তু আর্দ্রতা বেশি থাকায় মোটামুটি একটা ঠান্ডা ভাব ছিল শহর ও শহরতলিতে।