মাঘের শীত বাঘের গায়ে, এ প্রবাদ যেন প্রবাদই রয়ে গেল। ঘূর্ণাবর্তের জেরে মধ্য জানুয়ারিতে আবহাওয়ায় এল বড় বদল। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি এবার জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পাঁচ জেলায় আজ বিকেল পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকা এবং দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আজও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও পরে প্রধানত পরিস্কার আকাশ। তবে সকালে সন্ধ্যে শীতের আমেজ থাকবে। দিনের বেলায় শীতের আমেজ ধীরে ধীরে কমে যাবে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও পরে তা সামান্য কমে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এই তাপমাত্রা কিছুটা কমে ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫২ থেকে ৮৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে শীতল দিনের পরিস্থিতি রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকবে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায় দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় কার্যত শীতল দিনের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে জানান হয়েছে।
তবে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনাও রয়েছে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি। উত্তরের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে।
হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় এবং বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবেই সাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ঢুকছে। উল্টোদিকে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের প্রভাব ও থাকছে। এই কারণে পশ্চিমের দিকে জেলা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকলেও উপকূলের জেলাগুলিতে জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।