টানা তিন দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২তেই রয়েছে। সোমবার সকালে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও শীতের অনুভূতিতে তা কোনও ফারাক আনেনি। সকাল থেকেই শহরে জমিয়ে শীত , এই কথা বলা জেতেই পারে।
রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাপমাত্রা ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ সর্বনিম্ন ৩৪ শতাংশ। সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাপমাত্রা ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ সর্বনিম্ন ৩৪ শতাংশ। শনিবার শুক্রবারের থেকে তিন ডিগ্রি পারদ নেমে ১২.০ ডিগ্রিতে নেমে, যায়। সেই রেশ চলছে টানা তিন দিন ধরে।
গত শুক্রবার যেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.১ ডিগ্রি। সেখানে শনিবার তা নেমে দাঁড়ায় ১২ ডিগ্রিতে। পারদ পতন এদিন রবিবারও স্পষ্ট। রবিবার চুটিয়ে ছুটি উপভোগের করেছে সাধারন মানুস। রবিবার উপরি পাওনা ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রায় শীতের শেষে পৌঁছে এখন এই সময়টায় সকলেই বনভোজন থেকে এদিক ওদিক ঘোরাটা সেরে ফেলেন। সোমবার ছুটির বাজার বন্ধ কিন্তু শীতের আমেজ গায়ে নিয়েই আজ অফিস যাত্রা হবে শহরবাসীর তা স্পষ্ট।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কাশ্মীর থেকে হিমাচল প্রদেশে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। বরফ পড়ছে। সেই বরফের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আনছে উত্তুরে কনকনে বাতাস। যা এ রাজ্যেও ঠান্ডার অনুভূতি এনে দিয়েছে।
সামনের সপ্তাহে সরস্বতী পুজো। আর সরস্বতী পুজো কাটা মানেই কলকাতা থেকে শীতের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়া। তার উপর আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ওই সময় বঙ্গোপসাগরে ও একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্তও তৈরি হতে চলেছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। ঠান্ডা হাওয়া এবং সমুদ্রের জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে তৈরি হবে মেঘ। ফলে ওই সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।