বুধবার দুপুরে ৩৯ ডিগ্রির কাছে পৌঁছে যাবে শহরের তাপমাত্রা(Temperature)। এমনটাই মিলছে পূর্বাভাস। বিগত কয়েকদিন ধরেই শহরের তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ আরও খানিকটা চড়বে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই মুহূর্তে ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে আক দুই ডিগ্রি বেড়েছে। সকাল ৬টায় যা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার, শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই মুহূর্তে পৌঁছে যায় ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বাতাসে আর্দ্রতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নে ব্যাপক ফারাক থাকছে। বুধবারই যেমন শহরে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯০ শতাংশ, সর্বনিম্ন ১৮ শতাংশ। এই ফারাকের জেরেই শুকনো হাওয়া দিচ্ছে সকালের দিকে। বেলায় তাপমাত্রা বাড়লে স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছে আর্দ্রতা। ফলে শহর ও শহরতলিতে অনুভূত হচ্ছে সকালে শুষ্ক, দুপুরে আর্দ্র আবহাওয়া। যা শহরের স্বাভাবিক গরমের আভাস নয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে বৈশাখ মাস অর্থাৎ বসন্তের শেষ। এমন সময়ে এমন আবহাওয়া কেন? হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সাগরে কোনও সিস্টেম নেই। ফলে স্থানীয়ভাবে আর্দ্র বায়ু তৈরি হচ্ছে। সমুদ্রের দিক থেকে আসছে না আর্দ্র হাওয়া ফলে। এমন আবহাওয়া থাকছে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আজ দুপুরেই আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮-এ পৌঁছতে পারে। ৩৯-এ পা রাখা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যেমন দমদমে এখন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সল্টলেকে এখনি তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকালেই শহরের বাতাসে স্পষ্ট দক্ষিণ – পশ্চিমী ও পশ্চিমী বায়ুর প্রভাব। দমদমের সকালের পারদ ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সল্টলেকের পারদ গিয়ে পৌঁছেছে ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য জেলার পারদও। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৪০ এ পৌঁছেছে। তাপমাত্রা ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পানাগড় ৩৯.৪, মেদিনীপুর ৩৯.০, শ্রীনিকেতন ৩৯.৬, কলাইকুন্ডা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার পারদ খুব শীঘ্রই এই অবস্থায় পৌঁছে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।