প্রতিটি হিন্দু ভাইবোনকে অনুরোধ করা হচ্ছে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের সুরক্ষা মজবুত করার জন্য। এটি করতে গেলে প্রথমে ফেসবুকের সেটিং অপশনে গিয়ে “সিকিউরিটি অ্যান্ড লগিন” অপশনে যান তারপর “টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন” অপশনে গিয়ে নিজের মোবাইল নংটা দিন, তারপর একটি কোড আপনার মোবাইল নম্বর আসবে সেটি দিয়ে করে দিন। এই “টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন” অপশন অন থাকলে আপনার ফেসবুক আইডি সহজে কেউ হ্যাক করতে পারবে না। কারণ যখন আপনি অন্য কোনো ডিভাইস থেকে আপনার আইডিতে লগইন করতে চাইবেন তখন লগইন কোড চাইবে ফেসবুক। সেই লগইন কোড আপনার মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে যাবে। আবার অন্য কেউ লগইন করতে গেলেও এসএমএসে কোড আসার ফলে আপনি বুঝে যাবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। এবং আপনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ফলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারদের হাত থেকে সম্পূর্ন সুরক্ষিত থাকবে।
রাম মন্দিরের রায় ঘোষণার আগে জেহাদীরা বড়সড় কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চাইছে গুজব ছড়িয়ে। হতেই পারে সেটা আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে করা হলো। জেহাদীরা নিজেরাই নবীর নামে কটূক্তি করে আপনাকে ফাঁসাতে পারে, ঠিক যেমন গত পরশু বাংলাদেশের বরিশালের ভোলা শহরে ঠিক এই ভাবেই এক হিন্দু যুবক বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রথমে নবী মহম্মদের নামে কটূক্তি প্রচার করে! তারপর দাঙ্গা করে হিন্দুদের এলাকা থেকে উৎখাত করার জন্যে রীতিমতো জনসভা ডেকে হিন্দু এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয়। পশ্চিমবঙ্গেও বাদুড়িয়া-বসিরহাটে ঠিক একই ভাবে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরী করেছিল জেহাদীরা।
পশ্চিমবঙ্গে জেহাদীরা ঝামেলা করার জন্যে প্রায় তৈরী হয়ে বসে আছে, যে করে হোক ক্রমাগত দাঙ্গাহাঙ্গামা বাঁধিয়ে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য জাহির করাই এদের লক্ষ্য। এছাড়া ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন‚ অমর্ত্য সেন কথিত ভূমিসংস্কার; এসব তো আছেই। ফলে যুৎসই একটা ফেসবুক মন্তব্য পেলেই (না পেলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিজেরাই লিখে নিয়ে) এরা আইনের দ্বারস্থ না হয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এরা কিন্তু প্রশাসনকেও ছাড় দেয় না কারণ কালিয়াচকে প্রশাসককেই পিটিয়েছিল জিহাদীরা।
প্রতিটি হিন্দুত্ববাদী ও সাধারণ হিন্দু নাগরিককে অনুরোধ করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার আইডিগুলির পাসওয়ার্ড মজবুত করুন, ফেসবুকে “টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন” অপশন অন করে নিন নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে। একদিকে এনআরসি অন্যদিকে রামমন্দির এই দুটোকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে জিহাদীরা। তাই সতর্ক থাকুন, গুজবে পা দেবেন না, প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য নিন।
এবার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য নীচের পদ্ধতিগুলি মন দিয়ে পড়ে নিন।
হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিকে কিভাবে পুনরুদ্ধার এবং সুরক্ষিত করা যায়
কোনো এক রবিবারের পড়ন্ত বিকেলের কথা কল্পনা করুন। আপনি আয়েশ করে বাড়িতে বসে সাপ্তাহিক ছুটি উপভোগ করছেন‚ এমন সময় হঠাৎ আপনার বাড়ির দরজায় পুলিশ কড়া নাড়লো! কী হয়েছে? না,আপনি নাকি ফেসবুক থেকে একটি বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর নামে কটূক্তি করেছেন আর সেই কটূক্তির জবাব দেওয়ার জন্যে সেই ধর্মগুরুর অনুগামীরা মসলন্দপুর থেকে বিড়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু করেছে। বাড়ি-মন্দির-স্কুল ভাঙচুর করেছে এমনকি ট্রেন বাস রাস্তা সব আটকে দিয়েছে! আর এদিকে পুলিশ এসেছে ওদের কোমল মনে আঘাত দেওয়ার অপরাধে আপনাকে গ্রেপ্তার করতে। অথচ ফেসবুক থেকে কটূক্তি করা তো দূরের কথা গত তিনদিন ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে আপনি ফেসবুকই খোলেননি। কেমন লাগবে তখন? কেমন লাগছে এখন পরিস্থিতিটা ভাবতে?
হ্যাঁ‚ একেই বলে ফেসবুক হ্যাকিং! অর্থাৎ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছিল! কেউ আপনার অ্যাকাউন্টটা হ্যাক করেছিলো আপনাকে ফাঁসানো তথা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য।
ঠিক এমনি কোনও এক দিন আমারও অ্যাকাউন্টটা হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ফলে আমি কীভাবে আমার অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে পারি সে সম্পর্কে অনেক গবেষণা করেছিলাম কারণ হ্যাকার আমার ইমেল এবং মোবাইল নম্বর পালটে দিয়েছিলো যাতে সাধারণ পুনরুদ্ধার পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে আমি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে না পারি। অবশেষে নীচের পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে, আমি আমার অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আজ, কীভাবে আপনি হ্যাকারদের থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করতে এবং আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন সে বিষয়ে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তবে যদি এমন হয় যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ইতিমধ্যে হ্যাক হয়ে গেছে? আমি জানি আপনি কী ভাবছেন, “আমাদের অ্যাকাউন্টগুলি সুরক্ষিত করা তো ফেসবুকের কাজ” বা “পাসওয়ার্ড ও ওটিপি তো এইজন্যই”
ঠিক আছে, আপনি ঠিকই বলেছেন। সার্ভার সাইডে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা ফেসবুকের কাজ অবশ্যই! তবে ক্লায়েন্ট সাইডে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখাটাও কি আপনার দায়িত্ব নয়?
পদ্ধতি গুলি এক নজরে দেখে নিন
পদ্ধতি ১) আপনি কি এখনও ফেসবুকে লগ ইন আছেন?
পদ্ধতি ২) ডিফল্ট ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার বিকল্প পদ্ধতিটিগুলি চেষ্টা করুন
পদ্ধতি ৩) আপনার পরিচিতির তথ্য পরিবর্তন হয়েছিল নাকি তা আর পাওয়া যাচ্ছেনা?
পদ্ধতি ৪) আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি হ্যাক হয়েছে এবং এটি কী স্প্যাম এবং ভাইরাস ছড়াছে?
পদ্ধতি ৫) অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য ফেসবুক সাপোর্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি টিমের সাথে যোগাযোগ করুন।
আর যদি উপরিউক্ত সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয় তবে একটি নতুন ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করুন।
এখন যার সাহায্যে হ্যাকিং হতে পারে সেগুলোকে সুরক্ষিত করা দরকার।
১) আপনার ফোন
২) ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন এবং আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
৩) আপনার ল্যাপটপ এবং পার্সোনাল কম্পিউটার 4) যে অ্যাপ্লিকেশন এবং অ্যাপ গুলিতে লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করেন।
দ্রষ্টব্য: আপনি যদি হ্যাকারের দ্বারা ব্ল্যাকমেইল বা হয়রানির শিকার হন তবে আপনার কাছাকাছি সাইবার নিরাপত্তা থানার পাশাপাশি ফেসবুক সহায়তা কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করুন। কে এবং কীভাবে এই হ্যাকিংটি করেছে তা খুঁজে পেতে এবং সেই অপরাধী হ্যাকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এরা আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
আপনি এটাও দেখতে পারেন https://myhackingworld.com/secure-account-from-hackers/।
এখন উপরিউক্ত পদ্দতিগুলো বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো।
পদ্ধতি 1 – অ্যাডভান্সড পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার আগে এটা দেখুন যে আপনি কি কোনো ডিভাইস থেকে ফেসবুকে এখনো লগ ইন আছেন? এটি যেকোন ডিভাইস,যেমন ফোন বা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট ইত্যাদি হতে পারে।
আপনি যদি এখনও কোথাও থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারেন তবে আপনি নিজের ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটি “পুনরুদ্ধার এবং পুনরায় সেট” করতে সক্ষম হতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, আপনাকে কোনও সুরক্ষা প্রশ্নের (security question) উত্তর দিতে হবে বা আপনার ইমেল বা ফোন থেকে সুরক্ষা কোড (security code) সরবরাহ করতে হবে।
এখন আপনি যদি সুরক্ষা প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেন বা যদি আপনার মোবাইল ফোনটি সাথে থাকে তবে আপনি কেবল ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিয়ে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্যে এটি সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এবং সম্ভাবনা কম হলেও এটি চেষ্টা করে দেখাই যায়।
পদ্ধতি 2- যদি “পদ্ধতি 1” কাজ না করে, তবে পরিস্থিতির সাপেক্ষে আপনার আরও কিছু প্রযুক্তিগত পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। চিন্তার কিছু নেই। এটি করা অনেক সহজ।
১- একটি ডিভাইস এবং একটি অবস্থান ব্যবহার করুন যা আপনি আগে ফেসবুকে লগইন করতে ব্যবহার করেছিলেন। এটি ফেসবুককে সনাক্ত করতে এবং আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিরাপদে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
২- প্রথমে আপনার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সনাক্ত করতে হবে। এবার আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে, ফেসবুক পুনরুদ্ধার পৃষ্ঠাতে ( facebook recover page) যান এবং আপনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আগে যোগ করা একটি ইমেল অ্যাকাউন্ট বা ফোন নম্বর ব্যবহার করুন। আপনার অ্যাকাউন্টটি সনাক্ত করতে আপনি নিজের ফেসবুক ব্যবহারকারী নামও( Facebook username ) ব্যবহার করতে পারেন।
৩- একবার আপনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিকে সফলভাবে শনাক্ত করার পরে আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের একটি সংক্ষিপ্তসার দেখতে পাবেন। এখন এটি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিনা তা যাচাই করুন এবং নীচে তালিকাভুক্ত ইমেল অ্যাড্রেস এবং ফোননাম্বারে এখনও আপনার অ্যাক্সেস রয়েছে কিনা তা যাচাই করুন।
আপনার যদি আর এই পুনরুদ্ধার পদ্ধতিটি কাজে না আসে? তবে এই নিবন্ধটির “৪”-এ যান।
৪ – আপনি যদি ফেসবুক সরবরাহ করেছেন এমন পরিচিতি বিবরণগুলির (contact details) সাথে কোনো সমস্যা না দেখা যায় তবে চালিয়ে যান অপশনে (continue)ক্লিক করুন। ফেসবুক আপনাকে একটি সুরক্ষা কোড প্রেরণ করবে যাতে
আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি পুনরায় সেট করতে এবং পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
৫- আপনার ইমেলে একটি কোড আসবে যার সাহায্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি পুনরায় সেট (reset) এবং পুনরুদ্ধার করা যাবে। এখন আপনি আপনার ইমেল বা মেসেজের মাধ্যমে পাওয়া ফেসবুক সুরক্ষা কোডটি প্রবেশ করান।
৬- অভিনন্দন! আপনি সফলভাবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন। এখন আপনি একটি নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন। এটা নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং জটিল পাসওয়ার্ড সেট আপ করেছেন! এখন আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
দ্রষ্টব্য: যদি কোডটি না আপনি পান তবে আপনার ইমেলের স্প্যাম ফোল্ডারটি পরীক্ষা করে দেখুন। কখনও কখনও মেলটি স্প্যাম ফোল্ডারেও ঢুকে থাকে।
এক্ষেত্রে অন্য বিকল্পটি হ’ল “didn’t get a code?” অপশনে ক্লিক করা যা আপনাকে আগের পৃষ্ঠায় ফিরিয়ে আনবে। আপনি আবার চেষ্টা করতে পারেন এবং আপনার ডিভাইস বা মেইলে একটি সুরক্ষা কোড পাবেন। আমরা আপনাকে সুপারিশ করছি যে আপনি ফেসবুক সুরক্ষা সেটিংসে দ্বি-গুণক প্রমাণীকরণ বিকল্পটি (two-factor authentication option) চালু করুন, যাতে পরবর্তীতে আর হ্যাকিং না ঘটে।
পদ্ধতি ৩ – আপনার কনট্যাক্ট এর তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছিল বা তা কি আর পাওয়া যাচ্ছেনা?
কখনও কখনও ফেসবুক প্রোফাইলটি পুনরুদ্ধার করতে আগের লিঙ্কযুক্ত ইমেল এবং মোবাইল নম্বর আর ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ হ্যাকার এগুলো পরিবর্তন করে দেয়। অথবা যদি অ্যাকাউন্টটি খুব পুরানো হয় তবে আপনার মোবাইল বা ইমেল ঠিকানাটি হয়ত ভুলে যেতে পারে।
পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে, “এইগুলিতে আর আর প্রবেশাধিকার নেই” (“No longer have access to these”) লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন? রিসেট পাসওয়ার্ড পৃষ্ঠাতে নীচে বাম দিকে।
ফেসবুক এখন আপনার থেকে একটি নতুন ইমেল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর চাইবে। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে তারা কীভাবে আপনার কাছে পৌঁছতে পারবে তা ফেসবুককে জানান।
যদি আপনি কোনো বিশ্বস্ত কনট্যাক্ট (পরিচিতি) সেট আপ করেন তবে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে তাদের সাহায্য চাইতে পারেন। সেগুলির সমস্ত তথ্য পাওয়ার জন্য তিন থেকে পাঁচটি বিশ্বস্ত কনট্যাক্ট এর মধ্যে আপনাকে কমপক্ষে একটি পুরো নাম মনে রাখতে হবে।
দ্রষ্টব্য: আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে আপনার কেবলমাত্র তিনটি কোডের প্রয়োজন।
ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে আপনার বিশ্বস্ত পরিচিতিগুলিকে সহায়তা চান।
আপনি যদি বিশ্বস্ত পরিচিতি অর্থাৎ কনট্যাক্ট গুলি সেট আপ না করেন, তবে আপনাকে আগে সেট আপ করা সুরক্ষা প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার অপশন দেওয়া হতে পারে।
অথবা এই জাতীয় প্রশ্ন করতে পারে – অ্যাকাউন্টটি কোন বছর এবং কোন মাসে তৈরি করা হয়েছিল।
অ্যাকাউন্টটি কোথায় তৈরি করা হয়েছিল ইত্যাদি ইত্যাদি!
প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরে, আপনি এখন আপনার অ্যাকাউন্টে নিজের পাসওয়ার্ডটি পুনরায় সেট করতে পারেন।
পদ্ধতি ৪- আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে এবং এটি কী স্প্যাম এবং ভাইরাস প্রেরণ করছে?
যদি আপনার অ্যাকাউন্টটি বিপজ্জনক হ্যাকার দ্বারা হ্যাক করা হয়ে থাকে এবং যদিও এমন হয় যে এটি বর্তমানে স্প্যাম এবং ভাইরাস পোস্ট করে চলেছে। আর আপনি না পারছেন আপনার অ্যাকাউন্ট এ ঢুকতে না পারছেন হ্যাকার কে থামাতে। তখন আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিকে কম্প্রোমাইজ হিসাবে ফেসবুকে রিপোর্ট করুন এবং কোনও মেসেজ করা বা স্ট্যাটাস পোস্ট করা থেকে বিরত রাখতে একে ব্লক করুন।
কম্প্রোমাইজড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের রিপোর্ট করুন।
এটি এখন “পদ্ধতি ২” এর মতো একইরকম প্রক্রিয়া শুরু করবে। যেক্ষেত্রে আপনি “পদ্ধতি 2” তে দেওয়া একই পদ্ধতি ব্যবহার করবেন।
আপনি নিজের অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে কোনও বর্তমান বা পুরাতন ফেসবুক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
বর্তমানে হ্যাকিং করা হয়েছে এমন অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে এটি খুব কার্যকর হতে পারে।
পদ্ধতি ৫- যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধারের সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয় তবে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের সহায়তার জন্য ফেসবুক সমর্থন এবং সুরক্ষা দলের ( Facebook support and security team) সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে এবং আপনার অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে আপনি [email protected] এ ইমেল করতে পারেন।
সম্প্রতি তারা আপনার আইডেন্টিটি প্রুফ এর সাহায্যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি নতুন অপশন যোগ করেছে।
দ্রষ্টব্য: আপনি যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় আপনার আসল নাম না ব্যবহার করেন, তবে এই পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে আপনার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি।
নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন – https://www.facebook.com/help/contact/183000765122339
আপনার সরকার কতৃক জারি করা আইডি প্রুফ সংযুক্ত করে ফর্মটি পূরণ করুন।
ফেসবুকে ফর্মটি প্রেরণ করুন এবং কয়েক দিন অপেক্ষা করুন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক সপ্তাহও সময় লাগতে পারে।
তারপরে ফেসবুক একবার প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে নিলে তা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আপনাকে একটি ইমেল প্রেরণ করবে।
যদি সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তবে একটি নতুন ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করুন
কখনও কখনও ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণত, তাদের যোগাযোগের তথ্য (contact information) পুরানো হওয়ার কারণে, কিংবা হ্যাকারদের জন্যে ফেসবুকের সরবরাহিত পুনরুদ্ধার কোডগুলি আপনি হাতে পাননি। অথবা কখনও কখনও ফেসবুক.আপনার পরিচয় যাচাই করতে কখনই পৌঁছাবে না। দুর্ভাগ্যক্রমে, কিছু ক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা থাকে না। একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন, বেশ কয়েকটি বৈধ এবং বিশ্বস্ত কনট্যাক্ট (পরিচিতি)’তাদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য যুক্ত করুন। সুরক্ষার প্রশ্নগুলির পাশাপাশি যথাযথ পুনরুদ্ধার পদ্ধতি সেট করুন, ফেসবুক সুরক্ষা বিকল্পের (facebooks security option) প্রতিটি সুরক্ষা সেটিংস পরীক্ষা করে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করুন এবং আপনার প্রোফাইলটিকে সঠিকভাবে পুনর্নির্মাণ করুন।
আপনি যদি ফেসবুকে যোগাযোগ করতে বা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার জন্য অন্য কোনও উপায় খুঁজে পান যা আমরা এখানে উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছি, দয়া করে [email protected] এ আমাদের মেইল করুন
দ্রষ্টব্য: আপনি যদি নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে সক্ষম হন এবং যদি আপনার সন্দেহ হয় যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে, তক্ষুনি আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং আপনার পরিচিতির (কন্ট্যাক্ট) তথ্য আপডেট করুন। এটি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার নিজের নয় বা আপনি আর ব্যবহার করতে পারবেন না এমন কোনও ইমেল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর মুছে ফেলুন।
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার জন্য, আগে আপনার বুঝতে হবে যে হ্যাকাররা কীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে।
আমি ইতিমধ্যে কীভাবে ফেসবুক হ্যাক করতে হবে তার একটি গভীর নিবন্ধ লিখেছি।https://myhackingworld.com/hack-facebook-account/
এখন আপনাকে সেই আক্রমণকারী ভেক্টরগুলিকে সুরক্ষিত করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য এগুলি ব্যবহার করা যাবে না।
১) আপনার ফোনের আপনি বজায় রাখতে পারেন এমন সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা দরকার্।
একটি ভাল প্যাটার্ন লক রাখুন।
নর্টনের মতো একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করুন এবং এটি সঠিকভাবে সেট আপ করুন। আপনার অ্যাপ্লিকেশন আপ টু ডেট রাখুন। আপনার ফোনের ওএস আপ টু ডেট রাখুন। এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার ওটিপি এবং মেসেজগুলি অন্যদের হাতে পড়বে না।
২) ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন এবং আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
দ্বি-পদক্ষেপ যাচাইকরণ (two-step verification) চালু রাখুন। আপনি ফেসবুক সেটিংস অ্যাকাউন্টে দ্বি-পদক্ষেপ যাচাইকরণ অপশনে গিয়ে এই সেটিংটি পাবেন।
এছাড়াও, ফেসবুককে আরও সুরক্ষিত করতে আপনার ফোনকে একটি অথেনটিক অ্যাপ দিয়ে সেট করুন।
ফেসবুক সেটিংসে সুরক্ষা সেটিংস বিকল্প চালু রাখুন।
গোপনীয়তা সেটিংস যথাযথভাবে সেট করুন। app lock security application দিয়ে ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনটি সুরক্ষিত করুন।
৩) আপনার ল্যাপটপ এবং পিসি
আপনার পিসি এবং ল্যাপটপে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস আছে ইন্সটল করুন।
অক্ষর এবং বর্ণমালার সঠিক মিশ্রণের সাহায্যে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করুন।
ব্রাউজারগুলিতে পাসওয়ার্ডগুলি সংরক্ষণ (save) করবেন না।
আপনি যে ফেসবুক ডটকম ই খুলছেন এটি নিশ্চিত করার জন্য ওয়েবসাইটের ইউআরএল সর্বদা যাচাই করুন।
সর্বদা নিশ্চিত করুন যে https যেন অন থাকে।
আপনার ফোন থেকে লগইন অনুমোদন (login approvals ) চালু করুন।
উইন্ডোজ নিয়মিত আপডেট করুন।
ভাইরাস ম্যালওয়্যার এবং কীলগারগুলির জন্য আপনার সিস্টেমটি স্ক্যান করুন
৪) আপনি যে অ্যাপ্লিকেশন এবং লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করেন
ফেসবুকে কখনোই স্প্যাম মেসেজ পাঠাবেন না। ফরওয়ার্ডও করবেন না।
সর্বদা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং অজানা লিঙ্কে ক্লিক ও সেখান থেকে ডাউনলোড করবেন না।
প্লে স্টোরে নেই এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করবেন না। বিশেষত কিছু সাইট,যারা আপনাকে কোনো তথ্য পেতে বা কিছু ডাউনলোড করতে গেলে আগে একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে বলে।
৫) প্রতি তিনমাস অন্তর আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন
সবসময়ই প্রতি তিন মাস বা ছয় মাস অন্তর আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সুরক্ষার প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন। নতুন পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে তবে এটি করা অ্যাকাউন্ট এর জন্যই নিরাপদ। নাম বা জন্ম তারিখের মতো সুস্পষ্ট পাসওয়ার্ড কখনোই ব্যবহার করবেন না। এর থেকে পাসওয়ার্ড না পালটানোই ভাল কারণ এই ধরনের পাসওয়ার্ড আপনার অ্যাকাউন্টকে দুর্বল করে সহজ শিকার বানিয়ে দেবে।
এটাও দেখুন – কোন ধরনের পাসওযার্ড গুলি সহজেই ব্রেক করা যায় -https://myhackingworld.com/hack-guess-password/
হ্যাকাররা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেন? আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সমস্ত সংবেদনশীল তথ্য‚কথাবার্তা, ছবি সহ সমস্ত নথি, ফাইল, ভিডিও হ্যাকারদের হস্তগত হয়ে যাবে যা তারা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়া এই তথ্যগুলি আপনাকে ব্ল্যাকমেইলিং এবং অন্যান্য অসৎ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হতে পারে। সেক্ষেত্রে হ্যাকাররা যা বলবে আপনি তাই করতে বাধ্য হবেন। হয়তো তারা আপনার থেকে অর্থ দাবি করবে বা আপনার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্প্যাম এবং ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক -রাজনৈতিক ধর্মীয় অস্থিরতা সৃষ্টি করে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেবে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো দায় নিতে হবে না। আবার অন্য দিক থেকে বলা যায়, আপনার অ্যাকাউন্টটি ফেসবুক দ্বারা নিষিদ্ধ করা হবে,তাদের নয়।
আপনি যদি সেলিব্রিটি হন বা আপনার কোনও ব্যবসায়িক পেজ থাকে তবে সেগুলি হ্যাকারগুলির আসল লক্ষ্য হতে পারে। অনেক সেলিব্রিটিদের বদনাম করার জন্য রীতিমতো টাকা খরচ করে হ্যাকার ভাড়া করা হয়। প্রকাশিত ছবি এবং কেলেঙ্কারী কালোবাজারে ভালো অর্থের বিক্রিও হয়। এই ধরণের হ্যাকিংগুলি মূলত কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য করা হয়। এছাড়া বর্তমানে দাঙ্গাহাঙ্গামা লাগানোর কাজে, বা কোনো বিশেষ সম্প্রদায়কে জাতিগত নির্মূলীকরণের লক্ষ্যেও করা হয়ে থাকে (যেটা গত পরশুদিনই আমরা বাংলাদেশে দেখলাম)। এই হ্যাকিং অনেক দেশে একটি গুরুতর অপরাধও বটে, তাই সবাই সচেতন হন! এইভাবেই আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করতে এবং নিজেকে অযাচিত বিপদ থেকে বাঁচাতে পারবেন।
2019-10-22