সুনামি সতর্কতায় সক্ষম সমুদ্র গবেষক ‘সাগর অন্বেষিকা’

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমুদ্র গবেষণার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ “সাগর অন্বেষিকা”কে শুক্রবার সরকারিভাবে, ভারতীয় সমুদ্র গবেষণা সংস্থা “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশিয়ান টেকনোলজি সংস্থা” বা এনআইওটি’র হাতে তুলে দেওয়া হল।

এদিন টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড কারখানার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেপি চৌধুরী এবং এনআইওটি’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডি রাজ শেখর, বিকে ঠাকুরের উপস্থিতিতে, এই গবেষক জাহাজটিকে এনআইওটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সমুদ্র গবেষণার কাজে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত এই জাহাজটি তৈরি করেছে।

এই জাহাজটির নাম দেওয়া হয়েছে সাগর অন্বেষিকা। এর আগে টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ “সাগর তারা” নামে আগে আরও একটি সামুদ্রিক জাহাজ তৈরী করেছে। সেই জাহাজটিও সমুদ্র গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ৫০ কোটি টাকা করে দুটি জাহাজ তৈরী করতে সংস্থার ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

সাগর অন্বেষিকা নামে এই গবেষক জাহাজটি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে জলের গুণাগুণ, জলের খার, সামুদ্রিক প্রাণীদের নিরাপদ স্থান, জলজ সম্পদের অনুসন্ধান, এমনকি সুনামি সতর্কতার কাজ ও করতে সক্ষম। জাহাজটি আপাতত বঙ্গোপসাগর এবং আগামীদিনে আরব সাগরে গবেষণার কাজ করবে। এই জাহাজটিতে সমুদ্র বিজ্ঞানী সহ মোট ২০জন কেবিন ক্রু সদস্য থাকতে পারবে। জাহাজের ভিতরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমস্ত সুবিধা রয়েছে। জাহাজের ভিতরে আছে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা করার জন্য ডিজিটাল ল্যাবরেটরীও। আগামী দিনে টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড কারখানা এই ধরনের আরও জাহাজ বানাতে সক্ষম বলে নির্মাণ কারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এই জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থার চেয়ারম্যান জে পি চৌধুরী বলেন, “আগে দেশে এই ধরনের জাহাজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই তৈরী করতে পারি। একটি গবেষক জাহাজে যে ধরনের সুবিধা থাকা দরকার, সেই সব সুবিধা এই গবেষক জাহাজ সাগর অন্বেষিকাতে রয়েছে। আমরা আরও আধুনিকতম জাহাজ তৈরী করতে সক্ষম। তাই এখন এই বাংলা থেকেই তৈরী হতে পারে আধুনিকতম সামুদ্রিক জাহাজ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.