আবারও দেশের সীমানা পেরিয়ে মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। রবিবার সকালেই দক্ষিণ কোরিয়া লক্ষ্য করে দু’টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে কিমের দেশ। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) মূল ভূখন্ডে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে উত্তর কোরিয়া। তার পরীক্ষা করতেই সিওল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে কিমের দেশ। মিসাইল (ICBM) হামলার পরেই জাপান জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে জাপান। প্রসঙ্গত, গত মাসেই উত্তর কোরিয়ার মিসাইল আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) ভূখন্ডের কাছে। রবিবার সকালে ফের হামলা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সিওলের তরফে মিসাইল হামলার খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয় থেকেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব দিকের জলসীমায় আছড়ে পড়ে দু’টি মিসাইল। রবিবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ প্রথম মিসাইল হামলা হয়। তার মিনিট পঞ্চাশেক পরেই দ্বিতীয় মিসাইলটি আছড়ে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে বলা হয়েছে, “পুরো পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমাদের সেনা। সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা তৈরি।”
মিসাইল হামলার খবর জানিয়েছে জাপানও। সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে পাড়ি দিয়েছে মিসাইল দু’টি। এই মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জাপান সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তোশিরো ইনো বলেছেন, “আমাদের দেশের শান্তি ও সুরক্ষা বিঘ্নিত করেছে উত্তর কোরিয়ার এই হামলা। শুধু আমাদের দেশ নয়, আন্তর্জাতিক সুরক্ষাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এই হামলা। এই পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” আরও জানা গিয়েছে, গোটা জাপান জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে সেদেশের সরকার।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের বিপুল সম্ভার গড়ে তুলেছে উত্তর কোরিয়া। কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকার মূল ভূখন্ডে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি, এমনও শোনা গিয়েছে। এহেন সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছিল জাপানও। আমেরিকাকে নিশানা করে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৭’ তৈরির কাজ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। তা প্রায় শেষ। এর আগে ৬,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘হোয়াসং-১২’-র সাহায্যে কিমের দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে আমেরিকার আলাস্কা এবং এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে হানাদারি চালানো সম্ভব ছিল। নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে জো বাইডেনের দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তর কোরিয়ার নিশানায় চলে এসেছে বলে জাপানের দাবি।