প্রাচীন সময় থেকে ভারতের ঋষি মুনিরা মহাকাশের রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান পুরো বিশ্বকে দিয়ে এসেছেন। তথ্যগুলি যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য ভারতীয় সংস্কৃতি ও সংষ্কারের সাথে জুড়ে দিয়েছিলেন। এই কারনে আজও গ্রহণের তারিখ জানতে যখন আমেরিকা বা ইউরোপবাসী দুরবীনের দিকে তাকায়, তখন ভারতীয়রা পঞ্জিকা খুলেই অমাবস্যা, পূর্ণিমা, সূর্য গ্রহণ জ চন্দ্র গ্রহণের সময় বলে দেয়। এমনকি দিন গণনার ক্ষেত্রেও বারের নামকরণ গ্রহের প্রভাবের উপর লক্ষ করে করা হয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতিতে। কিন্তু যুগের কালচক্রে বহু তথ্য ভারতীয় সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে।
তবে বর্তমান সময়ে ভারতের মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা ISRO ভারতীয়দের প্রতিভাবে আরো একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছে। প্রাচীন ঋষি মুনিদের DNA এখনো ভারতীয় সমাজে রয়েছে তা কাজের মাধ্যমে দেখাতে পেরেছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। কম খরচে মহাকাশ অভিযানের বড়ো বড়ো প্রজেক্ট কিভাবে সম্পূর্ণ করতে হয় তা দেখিয়েছে ভারতের বিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি তার মন কি বাত অনুষ্ঠানে চন্দ্রযান-২ এর সফল লঞ্চের ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে উনাদের প্রশংসায় মুখর হন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যখন নতুন ক্ষেত্রে নতুন কিছু করে দেখানোর সময় আসে তখন আমাদের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমদের বিজ্ঞানীরা সর্বস্তরীয়, সর্বশ্রেষ্ঠ, আমি ভারতের বিজ্ঞানীদের উপর গর্ববোধ করি। আমি বিশ্বাস করি আকাশ পেরিয়ে মহাকাশে ভারতের এই সাফল্যের উপর আপনারও গর্ববোধ করছেন। মহাকাশ ক্ষেত্রে এই বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল ভারতের জন্য খুবই ভালো বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের বিজ্ঞানীরা মার্চে এন্টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছিল এবং তারপর চন্দ্রযান-২ লঞ্চ করে বিশ্বকে ভারতের প্রতিভা দেখিয়েছেন।