বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় স্বাভাবিকের নিচে শহরের পারদ

তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিকের নিচে রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সৌজন্যে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। আজ বৃহস্পতিবার, এদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

রবিবার থেকেই পূর্বাভাস মতো এমনই আবহাওয়া চলছে। রবিবার আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছিল দুপুর থেকে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়। তারপর জেলায় জেলায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। বুধবারও বৃষ্টি হয় ভোর রাতে। কলকাতাতেও তার অন্যথা হয়নি।

বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৫ সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ছিটেফোঁটা, বেশি দিয়েছে ঝড়ো হাওয়া। এর জেরে শহরের সকালের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমে গিয়েছে।

বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯১ সর্বনিম্ন ৬৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ০.৫ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১২.৫ মিলিমিটার।

মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৩ সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৭ মিলিমিটার।

সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ।

রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ সর্বনিম্ন ৩৮ শতাংশ।

কিন্তু কীভাবে কেন এই পরিস্থিতির তৈরি হল? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে তার সঙ্গে একটি অক্ষরেখাও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর। এই দুয়ের জেরে দুই থেকে ৬মে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্র বাতাস প্রবেশ করবে। এর জেরেই টানা পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

আজ ৬ মে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে কিছু জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্য সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ৬ তারিখ একই পরিস্থিতি জারি থাকবে। সঙ্গে সর্বত্র থাকবে ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.