চাঁদে মানুষের বসবাসের জন্য যা দরকার তা হল জল। হন্যে হয়ে সেই কাজই করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে সোমবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, যে কয়েক ট্রিলিয়ন পাউন্ড জল চাঁদ জুড়ে ছড়িয়ে থাকতে পারে। দূর থেকে যাকে দেখতে ছোট কাঁচের পুতি বা মুক্তর মতো। ১৯৭০ সালে পৃথিবীতে চাঁদের যে মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই মাটি পরীক্ষা করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলা হচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, “চাঁদের পৃষ্ঠে একটি জলচক্র বজায় রাখার জন্য, মাটির গভীরতায় একটি হাইড্রেটেড স্তর থাকা উচিত।” এর আগে ২০২০ সালে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ পত্রিকায় বিজ্ঞানীরা জানান, প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ জল আছে চাঁদে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, চাঁদের ক্লেভিয়াস গহ্বরে হাইড্রজেন ও অক্সিজেন মৌল জোট বেঁধে জলের অণু তৈরি হতে পারে। নাসা জানিয়েছে, ক্লেভিয়াস ক্রেটারে ১২ আউন্স মতো জল জমে আছে। চাঁদের মাটি ও ধূলিকণায় এক ঘনমিটার অবধি জায়গা জুড়ে সেই জলের অণু ছড়িয়ে আছে। তবে চাঁদের পিঠে নয়, জল জমে থাকতে পারে চাঁদের দুই মেরুতে।
চাঁদে যে জলের অস্তিত্ব রয়েছে, সেই সম্বন্ধে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে গত বছর এপ্রিল মাসে। প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩ হাজার ৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। বরফের আকারে জল জমে আছে বলে জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছিল। ব্রিটেনের এক বিজ্ঞানী কাঁচের পুঁতিগুলোকে এক একটি জলাধার বলে উল্লেখ করেন।
চাঁদে সৌর বাতাসের গতি কম। ক্রমাগত আসা সৌর বায়ুর কারণে, চাঁদে হাইড্রক্সিলও তৈরি হতে পারে। চিনের Chang’E-5 Lunar Lander এর আগে এ তথ্য জানিয়েছিল। চিনা বিজ্ঞানীরা জলের ফোঁটা না পেলেও পাথরে রাসায়নিক মিশ্রণ পেয়েছেন।