সফল উৎক্ষেপণেও সাফল্য এল না। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন রবিবার বলেছে যে তাদের প্রথম স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলে রাখা উপগ্রহগুলি ‘আর ব্যবহারযোগ্য নয়’। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, SSLV-D1 উপগ্রহগুলিকে বৃত্তাকার অক্ষে বসানোর পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়, রকেট লঞ্চের সমস্ত পর্যায় স্বাভাবিকভাবে সঞ্চালিত হয়। উভয় স্যাটেলাইট ইনজেক্ট করা হয়েছে। কিন্তু, প্রত্যাশা মাফিক কক্ষপথ অর্জন করা যায়নি। এর জেরে স্যাটেলাইটগুলি স্থিতিশীল নয়। পরে জানিয়ে দেওয়া হয় স্যাটেলাইটগুলি আর ব্যবহারযোগ্য নয়।
রবিবার সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে এসএসএলভি-ডি১/এওএস-০২ মহাকাশের উদ্দেশে উড়ে যায়। ইসরোর এই রকেটে ছিল একটি বিশেষ ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট। সেই বিশেষ স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে গ্রামীণ স্কুলের ৭৫০ পড়ুয়া। নাম আজাদিস্যাট। এদিকে ঐতিহাসিক এই লঞ্চে কিছুটা বিপত্তি ঘটে। শেষ মুহূর্তে কিছু ‘ডেটা লস’ হয় বলে জানা গিয়েছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, ডেটা প্রসেসিংয়ের কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইট পৌঁছায়নি।
আজাদিস্যাট ছাড়াও এওএস-২ নামক উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পৌঁছেছে ইসরোর রকেটে চেপে। এওএস-২ উপগ্রহটি ওজনে ১৪৫ কেজি। এটি পরীক্ষামূলক ছবি পাঠানোর কাজে আসবে। এদিকে আজাদিস্যাটটি মাত্র ৮ কেজি ওজনের। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৭৫টি পৃথক অংশ রয়েছে এই ক্ষুদ্র উপগ্রহে।
এই রকেট লঞ্চের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল ভোর রাত ২টো ১৮ মিনিট থেকে। এরপর সাত ঘণ্টা কাউন্টডাউনের পর আজ সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে রকেটটির উৎক্ষেপণ হয়। এই রকেটটির লঞ্চ তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। লঞ্চের তৃতীয় ভাগ সম্পন্ন হতেই ‘ডেটা লস’-এর কথা জানা যায়। এদিকে ইসরোর যে রকেটটি আজ লঞ্চ করা হয়, তা ছিল ক্ষুদ্রতম। ইসরোর স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলটি লম্বায় মাত্র ৩৪ মিটার। এই ভেহিকলটির ডায়ামিটারের দৈর্ঘ্য ২ মিটারেরও কম। তাতেই ছিল ইসরোর একটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটটি ঘোরার কথা ছিল পৃথিবীর অক্ষে। সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য পাঠানোর কথা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। তবে বর্তমানে স্যাটেলাইটগুলি স্থিতিশীল না থাকায় এটি আর ব্যবহারযোগ্য নয়।