হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিল্লিতে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। ফলে দেশের রাজধানী অঞ্চলের প্রায় ৫৩ শতাংশ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এখন ভাইরাল জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত।
দিল্লি লাগোয়া নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদের প্রায় প্রতি পরিবারের অন্তত এক জন করে সদস্য একই সমস্যায় আক্রান্ত। ২৩ শতাংশ পরিবারে দূষণ ও শীতজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত ২ থেকে ৩ জন সদস্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি সমীক্ষক দল গত কয়েক দিনে দিল্লি ও আশপাশের ২৪ হাজার বাড়িতে ঢুঁ মেরে এই তথ্য তুলে এনেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাতাসের গুণমান খারাপ হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি।
দু’বছর আগে শীতের সময়ও দিল্লিতে অনেকটা একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। সে সময় সারা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দিল্লিতে বেড়েছিল। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছিল জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলির প্রকোপ। বায়ু দূষণের কারণে বাড়ছে চোখের সমস্যাও।
মৌসম ভবনের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার ‘সৌজন্যে’ দ্বিতীয় দফার শৈত্যপ্রবাহ এড়ানো গেলেও এখনও দিল্লিতে শীত পুরোপুরি কমছে না। শনিবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’টি ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।