২০২২-২৩ সালে ভারতের দ্বিতীয় মানবহীন মহাকাশ মিশনের পরেই যাত্রা শুরু করবে ভারতের স্বপ্নের গগনযান। করোনা আবহে বেশ কিছুমাস থমকে গিয়েছিল গগনযান মিশন। তবে পূর্ণ উদ্যমে আবার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, গগনযান মিশনের প্রথম মানবহীন প্রকল্প পাড়ি দেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই। দ্বিতীয় মহাকাশযান পাড়ি দেবে ২০২২-২৩ সালে। এরপরেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাবে ভারত।
সেই লক্ষ্যেই জোরদার কাজ শুরু করেছে ইসরো। এই প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গগনযান প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে তিন মহাকাশচারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। মহাকাশে ৫-৭দিন থাকবেন মহাকাশচারীরা। ২০২২ সালের মধ্যেই গগনযান প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিতে হয়েছে গগনযান মিশন। চারজন মহাকাশচারীকে ইতিমধ্যেই বেছে নিয়ে ইসরো। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই ১২ জন এয়ারফোর্স অফিসারকে বেছে নেওয়া হয়। এরা লেভেল-১ স্ক্রিনিং পার করেন। পরে চারজনকে অভিযানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইসরো।
২০২২-এর মধ্যে পুরো প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ৩০ মাসের মধ্যে পাঠানো হবে প্রথম মানব-বিহীন স্পেসক্রাফট। আর মূল অভিযানে তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে ছিলেন, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা ‘গগনযান’-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
বাজেটে এই বিষয়ে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান ভারতের গর্বের মহাকাশ মিশন গগনযান। এরই অংশ হিসাবে চারজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে রাশিয়ায় জেনেরিক স্পেস ফ্লাইটের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে জানা যায়, গগনায়নে যাদের মহাকাশচারী হিসেবে পাঠানো হবে, তাঁদের মধ্যে কোনও মহিলা নেই। তবে, মহড়ায় পাঠানোর জন্য এক ‘মহিলা’কেই বেছে নিয়েছে ভারত। না, রক্ত-মাংসের মানবী নয়। রোবট মহিলাকে পাঠানো হবে মহাকাশে।