চৈত্র বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী হয়। এবারে তার দেখা ছিল না। উল্টে গরমের চোটে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল মানুষের। তবে ঘূর্ণাবর্তের দৌলতে চার দিনের মধ্যে দুটো কালবৈশাখী।পেল কলকাতা।
তিন তারিখ রাত প্রায় ৯টা। প্রথমে বৃষ্টি নামে তারপর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। বেশি রাতে হাওয়া অফিস জানায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে দুই মিনিট ধরে ঝড় হয়। সর্বোচ্চ গতি ছিল ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। কালবৈশাখীর সমস্ত শর্ত সেটি পূরণ করে। এরপর গতকাল রাত প্রায় সাড়ে ৯টা শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া দেওয়া। রাতের আকাশ মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, লাল আকাশে ঝড় শুরু হয়। এদিনও বেশি রাতে হাওয়া অফিস জানায় শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৪৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড়ো হাওয়া। সেটিও কালবৈশাখীর প্রায় সমস্ত শর্তই পূরণ করে। এক মিনিট এর স্থায়িত্ব ছিল। তবে মাঝ বৈশাখ পেরিয়ে যাওয়ার পরও এবারে কালবৈশাখীর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত বেশ কম।
সাধারণত এমন ঝড় সন্ধ্যাবেলায় হয় তবে যেহেতু ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে এই ঝড়গুলি হচ্ছে তাই এর সময়কালেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন হাতে সময় রয়েছে পরে সমস্ত প্রয়োজন পূরণ হয়ে যাবে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার সারাদিন গরম , আর তারপর রাতের দিকে বৃষ্টি এবং ওই ঝড়। সারাদিনের অস্বস্তিকর গরমকে ভুলিয়ে দেয়। ফলে শুক্রবার সকালেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই ছিল। তবে বেলা গড়াতেই দ্রুত চড়ছে পারদ। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৬ সর্বনিম্ন ৫৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ০.৫ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.০ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৫ সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ।
রবিবার থেকেই পূর্বাভাস মতো এমনই আবহাওয়া চলছে। রবিবার আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছিল দুপুর থেকে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়। তারপর জেলায় জেলায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। বুধবারও বৃষ্টি হয় ভোর রাতে। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি। আজ শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে তার সঙ্গে একটি অক্ষরেখাও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর। এই দুয়ের জেরে ৬মে পর্যন্ত রাজ্যে প্রচুর পরিমানে আর্দ্র বাতাস প্রবেশ করেছে। এর জেরেই বৃষ্টি হয়েছে। বয়েছে ঝড়।
2021-05-07